প্রেমিকার ঘনিষ্ঠ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল করে ধৃত প্রেমিক (বাঁ দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুলে পড়ার সময় বন্ধুত্ব হয়েছিল তাঁদের। তার পর ক্রমে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েক বছর পর সম্প্রতি তাঁদের আবার সাক্ষাৎ হয়। তত দিনে তাঁরা দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। আবার কথোপকথন শুরু। তা থেকে পরস্পরকে ভাল লাগা থেকে প্রেম। এ ভাবেই তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। কিন্তু সেই ঘটনাই যে তাঁর জীবনে বিপত্তি ডেকে আনবে, ভাবতে পারেননি তরুণী। সেই বন্ধুই তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনা বেঙ্গালুরুর।
পুলিশ সূত্রে খবর, মোহন কুমার নামে পুরনো এক বন্ধুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বেঙ্গালুরুর এক তরুণীর। তাঁর দাবি, মোহন তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও গিয়ছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি গোপনে ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন মোহন। সেই ভিডিয়োর কথা তরুণী পরে জানতেও পারেন। কিন্তু প্রেমিকের কথা সহজেই বিশ্বাস করে ফেলেছিলেন, এমনই দাবি করেছেন তরুণী।
প্রেমিকার বিশ্বাস অর্জন করার পরই আসল রূপ বেরিয়ে আসে মোহনের। অভিযোগ, তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিয়ো দেখিয়ে প্রেমিকাকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করেন। তাঁর কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করেন মোহন। প্রেমিকা সচ্ছ, পরিবারের, সেটা ভাল ভাবেই জানতেন তিনি। অভিযোগ, প্রেমিকার কাছে প্রথমে দেড় কোটি টাকা দাবি করেন। চাপে পড়ে সেই টাকা ঠাকুমার অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে প্রেমিককে দেন তরুণী। কিন্তু তার পরেও ব্ল্যাকমেল করা থামাননি মোহন। পরে আরও টাকা দাবি করেন। অভিযোগ, মোহনের দাবি মতো পরে আরও ১ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। আড়াই কোটি টাকা আদায় করার পরেও ব্ল্যাকমেল করা ছাড়েননি মোহন। প্রেমিকার কাছ থেকে দামি ঘড়ি, সোনা, হিরের গয়না এমনকি দামি গাড়িও আদায় করেন।
প্রেমিকের একের পর এক দাবি মেটাতে মেটাতে যখন দিশাহারা, শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন তরুণী। মোহনের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মোহনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে।