গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সিআইএ-র ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক প্রকাশিত হতেই তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে এ দেশের একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের মধ্যে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) এবং বজরঙ দলকে ‘ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। সেন্ট্রাল ইন্টালিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ-র বার্ষিক পুস্তিকা ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক প্রকাশ পেয়েছে গত ৪ জুন। সেই রিপোর্ট নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে ভিএইচপি, বজরঙ দল।
ভিএইচপি মুখপাত্র বিনোদ বনশল ওই রিপোর্টকে ‘ভুয়ো’ বলে উল্লেখ করে বলেন, ইতিমধ্যেই ভারত সরকারকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। মার্কিন সরকারের সঙ্গে অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আর্জিও তাঁরা জানিয়েছেন। এর জন্য সিআইএ-কে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তুলেছে ভিএইচপি।
সিআইএ প্রতি বছর তাদের ফ্যাক্টবুকে বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক সংগঠনগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করে। যে সংগঠনগুলি রাজনৈতিক ভাবে প্রভাব বিস্তার করলেও, সেগুলির নেতারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নেন না, সেই ধরনের সংগঠনগুলিকে আলাদা ভাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে সিআইএ। এ দেশে এই তালিকায় যেমন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর নাম আছে, তেমনই আছে হুরিয়ত কনফারেন্স, জমিয়তে উলেমা হিন্দ, বজরঙ দল, ভিএইচপি-র মতো সংগঠনও।
আরও খবর: বেঁচে থাকার ‘চ্যালেঞ্জ’ হেরে গেলেন বুখারি
শ্রীনগরে বুলেটে ঝাঁঝরা সাংবাদিক সুজাত বুখারি, দেশজুড়ে নিন্দার ঝড়
ভোটে অংশ না নেওয়া এই সব প্রভাবশালী সংগঠনগুলোকে মধ্যে আবার নানা শ্রেণিতে ভাগ করেছে সিআইএ। আরএসএস-কে ওই রিপোর্টে জাতীয়তাবাদী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হুরিয়ত কনফারেন্সকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এবং জমিয়তে উলেমা হিন্দকে ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিএইচপি এবং বজরঙ দলকে বলা হয়েছে ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন।
শুধু রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণ নয়, ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও এর আগে সিআইএ প্রকাশিত পুস্তিকা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।