প্রতীকী চিত্র।
মহারাষ্ট্রের কোলাপুরে রবিবারের প্রার্থনায় যাওয়ার পথে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হাতে আহত হলেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তত ১২ জন। সংবাদ মাধ্যমকে কোলাপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সম্ভবত ‘দক্ষিণপন্থী’ শক্তিই আছে এই হামলার পিছনে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়।
রবিবার সকালের প্রার্থনার উদ্দেশ্যে কোলাপুরের কোবাড গ্রামের বাসিন্দা ভীমসেন চবনের বাড়িতে একে একে জমা হচ্ছিলেন স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন মহিলা। ভীমসের চবনের বাড়ির কাছে পৌঁছতেই তাঁদের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় বাইকে করে এসে চালানো হয় হামলা। তরবারি, লোহার রড, ইট এবং লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় ১০-১৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
এই অচকিত হামলায় হকচকিয়ে যান স্থানীয় মানুষেরা। কিন্তু নিজেদের বাঁচাতে তাঁরা লঙ্কার গুঁড়ো নিয়ে দুষ্কৃতীদের উদ্দেশে ছুড়তে থাকেন। কিছুক্ষণ পর পিছু হঠে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের হামলায় অন্তত ১২ জন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের স্থানীয় বেলগাভি জেলার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করুন, সু্প্রিম কোর্টকে জানালেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী
কোলাপুরের পুলিশ সুপার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘সম্ভবত দক্ষিণপন্থী শক্তির মদতেই এই হামলা। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। হামলাকারীদের খুঁজতে চারটি দল তৈরি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকার যে সমস্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা আছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই সমস্ত ফুটেজও।’’
আরও পড়ুন: লুধিয়ানায় কালি মাখানো হল রাজীব গাঁধীর মূর্তিতে
রবিবারের এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে ফের সামনে উঠে এসেছে ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি। ক্রিসমাসের ঠিক আগে এই হামলার ঘটনায় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সমাজও।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)