Ladakh

লাদাখে এলএসি পেরিয়ে ফের ভারতীয় ফৌজের হাতে বন্দি চিনা সেনা

অগস্ট মাসের গোড়ায় ভারতীয় সেনার মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর ঝটিতি অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ লাদাখের গুরুত্বপূর্ণ গিরিশিরাগুলি দখলে নিয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:২৪
Share:

লাদাখে ভারতীয় সেনা— ফাইল চিত্র।

লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) টানাপড়েনের আবহে ফের ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়লেন এক চিনা সেনা। শনিবার সেনার তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।

Advertisement

সেনাবাহিনীর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণে এলএসি অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ায় শুক্রবার চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির এক সেনাকে আটক করা হয়। তিনি এখন ভারতীয় সেনার হেফাজতে রয়েছেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রোটোকল মেনে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ সেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, আটক চিনা সেনাকে প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র এবং খাবার দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই চিনা সেনা ভুল করে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিলেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে জানিয়ে ওই সূত্রের ইঙ্গিত, শীঘ্রই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

গত বছর অক্টোবরে দক্ষিণ লাদাখের চুমার-ডেমচক এলাকায় সীমান্ত লঙ্ঘনের দায়ে ওয়াং ইয়া লং নামে পিএলএ-র এক কর্পোরালকে আটক করেছিল ভারতীয় বাহিনী। এরপর এলএসি সংক্ন্ত দ্বিপাক্ষিক প্রটোকল মেনে চুশুল-মলডো পয়েন্টে আটক কর্পোরালকে চিনা ফৌজের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ভারতীয় সেনা জানিয়েছিল, পখ ভুল করেই ওয়াং এলএসি পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় চলে এসেছিলেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব কার্যকর হতে পারে কি?

পূর্ব লাদাখে ‘সংঘাতের নয়া ক্ষেত্র’ প্যাংগংয়ের দক্ষিণ তিরের বিভিন্ন এলাকায় উঁচু এবং সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ভারতীয় সেনা। অগস্ট মাসের গোড়ায় ভারতীয় সেনার মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর ঝটিতি অভিযান চালিয়ে থাকুং সেনাঘাঁটির অদূরে হেলমেট টপ এলাকা থেকে রেচিন লা পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ গিরিশিরাগুলি দখলে নিয়েছিল। এর পরে ওই এলাকায় ঢুকে শূন্যে গুলি ছুড়ে ভারতীয় বাহিনীকে হঠাতে চেয়েছিল চিনা ফৌজ। কিন্তু প্রতিরোধের মুখে তাদের পিছিয়ে যেতে হয়। কোর কমান্ডার স্তরের পরবর্তী বৈঠকগুলিতে প্যাংগংয়ের দক্ষিণ তিরে ‘মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট) এবং ‘সেনা সংখ্যা কমানো’ (ডিএসক্যালেশন)-র দাবি তোলা হয়েছে পিএলএ-র তরফে।

আরও পড়ুন: একই সঙ্গে তিন বিক্ষোভ, বিশ্বভারতী চত্বরে উত্তেজনা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement