উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে সেনা সরানোর ছবি। ছবি: এপি
গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ধাপে ধাপে সেনা সরাচ্ছে চিনা বাহিনী। বুধবার সেই প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ হল গালওয়ানের আরও একটি পেট্রোলিং পয়েন্টে। ভারতীয় সেনা সূত্রে তেমনই খবর মিলেছে। বাকি একটি পয়েন্ট থেকেও সেনা সরানোর প্রক্রিয়া চলছে এবং তা আগামিকালের মধ্যেই সম্পূর্ণ হবে বলে সেনার ওই সূত্র জানিয়েছে। তার পরেই গালওয়ান উপত্যকা থেকে দু’পক্ষেরই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। তবে প্যাংগং লেক এলাকায় ফিঙ্গার পয়েন্টগুলি নিয়ে এখনও জট কাটেনি বলেই জানা গিয়েছে সেনা সূত্রে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভালের ভিডিয়ো বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, ২ কিলোমিটার বাফার জোন থাকবে, যেখানে কোনও দেশের সেনা থাকবে না। সেই বৈঠকের পরেই সেনা সরাতে শুরু করেছিল চিনা বাহিনী। মঙ্গলবার সম্পূর্ণ হয়েছিল গালওয়ান উপত্যকারই ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট এলাকায়। এখানেই গত ১৫ জুন রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ান-অফিসার। তার পর আজ বুধবার হট স্প্রিং এলাকায় পেট্রোল পয়েন্ট-১৫ থেকে পারস্পারিক সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই অনুযায়ী এই পয়েন্টের দু’কিলোমিটার এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে বলে সেনার সূত্র জানিয়েছে।
অন্য দিকে গোগরা এলাকার ১৭এ পেট্রোল পয়েন্টেও সেনা সরাতে শুরু করেছে চিনা বাহিনী। সেই প্রক্রিয়া আগামিকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হতে পারে বলেই মনে করছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তারা। তার পরেই গালওয়ান উপত্যকায় স্থিতাবস্থা ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাঁধী পরিবারের তিন ট্রাস্টে দুর্নীতি? তদন্তে কমিটি গড়ল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে দিনে ৩ লাখ করে সংক্রমণ বাড়বে ভারতে? দাবি গবেষণার
গত রবিবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং লি-র সঙ্গে দীর্ঘ ভিডিয়ো বৈঠক করেন এনএসএ ডোভাল। সেই বৈঠক সূত্রে গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা সরাতে সম্মত হলেও প্যাংগং লেক এলাকা ছাড়ার মতো কোনও আশ্বাস দেয়নি বেজিং। এই প্যাংগং লেক এলাকায় ১ থেকে ৮ পর্যন্ত আটটি ফিঙ্গার পয়েন্ট রয়েছে। সবগুলি ফিঙ্গার পয়েন্টই ভারতের বলে দাবি করে দিল্লি। অন্য দিকে চিনের দাবি, ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত তাদের অধিকারে। এই ফিঙ্গার পয়েন্টগুলি দখল করে রেখেছে চিনের পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এই ফিঙ্গার-৪ এলাকা পিএলএ এখনও না ছাড়লেও সেখানে নড়াচড়া ভারতীয় সেনার নজরে এসেছে। সেনার গাড়ি ও বেশ কিছু তাঁবু সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।