প্রতীকী ছবি।
ভারতের করোনা টিকা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে তথ্য চুরির জন্য সক্রিয় চিনা হ্যাকাররা। সাইবার নজরদারি সংস্থা ‘সাইফার্মা’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই দাবি করেছে। প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অন্তত দু’টি ভারতীয় সংস্থার ‘আইটি সিস্টেম’কে নিশানা করেছে চিনের সরকারি মদতে পুষ্ট হ্যাকাররা।
বিশ্বে করোনা টিকার বৃহত্তম উৎপাদক ভারত। বিশ্বে প্রায় ৬০ শতাংশ করোনা টিকা ভারতে উৎপাদন করা হয়। চিনও ইতিমধ্যেই করোনা টিকা উৎপাদন শুরু করেছে। দু’টি দেশ থেকেই বিভিন্ন রাষ্ট্র করোনা টিকা আমদানি করছে। বিশ্বের বৃহত্তম কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া চিনা হ্যাকারদের নিশানায় রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। নিশানায় রয়েছে দেশের আরেক করোনা টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকও।
ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬-এর প্রাক্তন আধিকারিক তথা সাইফার্মার সিইও কুমার রীতেশ জানিয়েছেন, চিন সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত হ্যাকারদের গোষ্ঠী ‘স্টোন পান্ডা’ সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেকের সফ্টঅয়্যার চেনগুলির দুর্বলতা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।
রীতেশ জানান, করোনা রোগীদের কী ভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে আর কী ভাবে তাঁদের কোন কোন ধরনের পরীক্ষা করা হচ্ছে, সে সম্পর্কেও যাবতীয় তথ্য এবং মেধাস্বত্ব চুরিরও চেষ্টা চালাচ্ছে ওই চিনা হ্যাকাররা। অক্সফোর্ডের করোনা টিকা কোভিশিল্ডের পাশাপাশি আমেরিকার সংস্থা ‘নোভাভ্যাক্স’-এর করোনা টিকা ‘এনভিএক্স-কোভ-২৩৭৩’ উৎপাদনের দায়িত্বেও রয়েছে সেরাম। তাদের সার্ভার থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য চুরির বিষয়ে চিনা হ্যাকাররা বিশেষ ভাবে সক্রিয় বলে জানিয়েছেন ‘সাইফার্মা’র কর্তা। তবে চিনা সরকারের তরফে সোমবার এই অভিযোগ সম্পর্কে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।