লাদাথে ভারতীয় বাহিনীর টহল— ফাইল চিত্র।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বলেছিলেন, ‘‘পৃথিবীর কোনও শক্তি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারতীয় সেনার টহলদারির পদ্ধতিতে (পেট্রোলিং প্যাটার্ন) বদল ঘটাতে পারবে না।’’ কিন্তু অভিযোগ, শুধু প্যাংগং হ্রদের ফিঙ্গার এরিয়ার একাংশ নয় উত্তর লাদাখে দৌলত বেগ ওল্ডি (ডিবিও) বায়ুসেনা ঘাঁটির অদূরে দেপসাং উপত্যকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলও গত পাঁচ মাস ধরে ভারতীয় ফৌজের ‘অগম্য’!
সরকারি একটি সূত্র উদ্ধৃত করে সর্বভারতীয় একটি দৈনিকের দাবি, মার্চ-এপ্রিল থেকেই দেপসাংয়ের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০, ১১, ১১-এ, ১২ এবং ১৩-য় ভারতীয় সেনার টহলদারির প্রথাগত পথ রুদ্ধ করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। লেহ্ থেকে দাবরুক, শিয়োক হয়ে ডিবিও পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কের পূর্বে অবস্থিত ওই পাঁচটি পেট্রোলিং পয়েন্টের অবস্থান এলএসি লাগোয়া। মার্চ মাসের আগে পর্যন্ত সেখানে টহল দিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। কিন্তু এর পরে চিনা ফৌজ ঢুকে পড়ায় প্রায় ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ভারতীয় সেনার কার্যত ‘প্রবেশ নিষেধ’ হয়ে গিয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি।
চিন সম্পর্কিত বিষয়ে নয়াদিল্লির অন্যতম উপদেষ্টা সংস্থা ‘চায়না স্টাডি গ্রুপ’-এর এক সদস্য বলেছেন, ‘‘চিনের এই পরিকল্পনা ও কৌশলগত পদক্ষেপের ফলে ওই এলাকায় পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে।’’ সেনা সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখের গালওয়ান, হট স্প্রিং, গোগরায় ঢোকার আগেই দেপসাং এলাকায় এলএসি পেরিয়েছিল পিএলএ।
আরও পড়ুন: তুমুল অশান্তির মধ্যেই রাজ্যসভায় পাশ জোড়া কৃষি বিল
গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে এলএসি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার অন্দরে ‘বটলনেক’ এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে চিনা ফৌজ। এর অদূরের ‘ওয়াই জংশন’ থেকে পায়ে হাঁটা পথে উত্তর-পশ্চিমে রাকি নালা লাগোয়া পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০-এ টহলদারি চালাত ভারতীয় বাহিনী। একই ভাবে ওয়াই জংশন থেকেই পদব্রজে দক্ষিণ-পূর্বে জীবন নালার পাশের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৩-তে চলত নজরদারি। অন্য তিনটি পেট্রোলিং পয়েন্টের অবস্থান ১০ এবং ১৩-র মধ্যবর্তী অঞ্চলে।
আরও পড়ুন: ভিসার আবেদন নাকচ, ভারতীয় কূটনীতিকের নিয়োগে বাধা পাকিস্তানের
প্রকাশিত খবরে দাবি, চিনা ফৌজের উপস্থিতির কারণে ভারতীয় সেনা এখন ‘বটলনেক’ পেরিয়ে এলএসি-র দিকে এগোতে পারছে না। ‘বটলনেক’-এর সাত কিলোমিটার পশ্চিমে দাবরুক-শিয়োক-ডিবিও রোডের উপরে অবস্থিত বার্ৎসেতে ভারতীয় সেনার শিবির রয়েছে। আপাতত প্রথাগত রুট পরিহার করে সেখান থেকেই টহলদারির কাজ চলছে।