গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অবশেষে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ‘চোখে-চোখ’ অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে গেল ভারত এবং চিনের সেনা। উত্তেজনা কমাতে ‘বাফার জোন’ তৈরির উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। আপাতত গালওয়ানেই সেনা পিছনোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গোগরা হট স্প্রিং এরিয়াতেও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তরের ‘ফিঙ্গার এরিয়া’য় পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
ভারতীয় সেনার একটি সূত্রের উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গালওয়ানে প্রায় এক-দু’কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিন সেনা। তবে গালওয়ান নদীর তীরে এখনও পিপলস লিবারেশন আর্মির সাঁজোয়া গাড়ি রয়েছে। ভারতীয় সেনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
গত ১৫ জুন গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪ অদূরে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। চিনের তরফেও প্রায় ৪৫ জন সেনা হতাহত হয় বলে সেনা সূত্রের খবর। এদিন খবরে প্রকাশ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র অন্দরে ভারতীয় ভূখণ্ডে অবস্থিত ওই এলাকা থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার পিছনে সরেছে চিন সেনা।
আরও পড়ুন: আলোচনার দরজা খোলা রাখা চাই
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে জানানো হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় মোতায়েন ভারতীয় বাহিনীও আগের অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে। এনএনআই জানিয়েছে, গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরে গত ২২ এবং ৩০ জুন দুই সেনার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকের ফলশ্রুতিতেই এই ‘ডিসএনগেজমেন্ট’। রবিবার থেকেই চিন সেনার তরফে পিছু হঠা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: করোনা কি বায়ুবাহিত? বিতর্ক ফের উস্কে দিল শতাধিক বিজ্ঞানীর গবেষণা
তবে গালওয়ান ও গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় প্রক্রিয়া কার্যকর হলেও প্যাংগং লেকের উত্তরে চিন সেনা সরবে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞেরা। কারণ সেখানে ফিঙ্গার এরিয়া ৪ থেকে ৮-এর মধ্যে একাধিক স্থানে রাস্তা, কালভার্ট, কংক্রিটের বাঙ্কার তৈরি করে স্থায়ী ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে চিন। ফলে এলএসি সংলগ্ন এলাকায় টহলদারিতে যেতে পারছে না ভারতীয় সেনা।
পাশাপাশি, উত্তর লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির অদূরে দেপাসাং এলাকায় এলএসি পেরিয়ে ঢুকে আসা লালফৌজ এখনও পিছু হটেনি বলে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে।