অরুণাচলের এই পাঁচ তরুণ ধরা পড়েন চিনা সেনার হাতে।
অবশেষে নিজেদের জিম্মায় থাকা অরুণাচলের ৫ তরুণকে ভারতের হাতে তুলে দিল চিন। নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর শনিবার সকালে ওই ৫ তরুণকে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। চিনের গণমুক্তি ফৌজ (পিএলএ) ওই পাঁচ তরুণকে ফিরিয়ে দেবে বলে শুক্রবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
চিনের ভূখণ্ডেই ৫ তরুণকে হস্তান্তরিত করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রে খবর। অরুণাচলের আনজ জেলার কিবিথু পোস্ট দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার কথা তাঁদের। রিজিজু টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘চিনের সেনা ভারতীয় সেনাকে নিশ্চিত করেছে ওই তরুণদের হস্তান্তরিত করা হবে।’
পাঁচ যুবকের নাম সিংকাম তচ, ডংটু এবিয়া, গারু দিরি, প্রদাদ রিংলিং এবং টানু বাকের।
এর আগে সেনার একটি টুইটে বলা হয়, ‘আপার সুবনসিরির ৫ শিকারি, যারা ২ সেপ্টেম্বর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করেছিল, ভারতীয় সেনার অবিরাম চেষ্টার ফলে তারা ১২ সেপ্টেম্বর ফিরে আসছে। দামাইয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় পিএলএ তাদের ভারতের হাতে তুলে দেবে।’ সেনা ওই তরুণদের ‘শিকারি’ বলে পরিচয় দিলেও তাঁদের পরিবারের দাবি, ওই তরুণরা প্রত্যেকেই ‘পোর্টার’ বা কুলির কাজ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকার অনেককেই সেনা এবং ইন্দো-তিব্বতি সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) ‘পোর্টার’ হিসাবে কাজে নেয়। সেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই আরও উচ্চতায় শিকার বা ভেষজ সংগ্রহ করতে যান। দীর্ঘদিন ধরে ‘গুম্বা’ নামে একটি ভেষজ ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। সেটি বাজারে বেশ চড়া দামে বিক্রিও হয়। মনে করা হচ্ছে, ওই ৫ তরুণও সে ভাবেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ফের সাড়ে ৯৭ হাজার নতুন আক্রান্ত, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ ৮১ হাজার
লাদাখে ভারত-চিনের মধ্যে দড়ি টানাটানির সময় অরুণাচলের আপার সুবনসিরি জেলার নাচো সেক্টরে সেরা-৭ এলাকা থেকে ৫ তরুণ নিখোঁজ হন। প্রথমে চিন জানিয়েছিল, তারা কাউকে ধরেনি। পরে পিএলএ মেনে নেয়, ভারতের ওই তরুণরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে চিনের ভূখণ্ডে চলে আসায় তাঁদের আটক করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাঁদরের শরীরে কাজ করছে ‘কোভ্যাক্সিন’, জানাল ভারত বায়োটেক