প্রতীকী ছবি।
সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতীয় সেনার রুটিনমাফিক নজরদারির ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে চিন। স্পষ্ট জানাল ভারত। লাদাখ বা সিকিমের দিক থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এলএসি) লঙ্ঘনের চিনের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছে ভারত সরকার। উল্টে ভারতের দাবি, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি-র বিভিন্ন কার্যকলাপে ওই এলাকায় ভারতীয় সেনার সীমান্তরক্ষার দায়িত্বে বাধা পড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ভারতীয় সেনা। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় সেনার সমস্ত কার্যকলাপই হচ্ছে এলএসি-তে আমাদের দিকের এলাকায়। পশ্চিম সেক্টরে বা সিকিমে কখনই এলএসি লঙ্ঘন করেনি ভারতীয় সেনা।’’ সেই সঙ্গে তিনি সাফ বলেছেন, ‘‘ভারতের সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও দাবি, ‘‘আমাদের দায়িত্বের বিষয়ে পুরোপুরি সচেতন। বাস্তবে, চিনের তরফ থেকেই এলএসি বরাবর এলাকায় নিয়মিত এমন সব কার্যকলাপ করা হচ্ছে, যা (ভারতের) রুটিনমাফিক টহলদারিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: ৩ মাসের জন্য বিমানভাড়া বেঁধে দিল কেন্দ্র, নিষেধাজ্ঞা রেড জোনের বাসিন্দাদের
আরও পড়ুন: আমপানের তাণ্ডবে জলের তলায় কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ে
সম্প্রতি লাদাখ এবং সিকিমে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত-চিনের সেনারা। চলতি মাসের গোড়াতেই সিকিমের নাকু লা-য় চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির জওয়ানদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় ভারতীয় সেনার। ১০ মে-র ওই ঘটনায় দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন জওয়ান আহত হন। সিকিমের ওই ঘটনার আগে ৫ মে লাদাখে এলএসি-র খুব কাছে উড়তে দেখা যায় চিনের দু’টি চপারকে। সে সময়কার মতো পরিস্থিতি না বিগড়োলেও ওই দিন সন্ধ্যায় চিনের সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ভারতীয় সেনার। তাতে আহত হন দু’দেশেরই জওয়ানেরা। এ ছাড়াও লাদাখে গালবান উপত্যকায় চিনের আগ্রাসন লক্ষ্য করা যায়। অভিযোগ, ওই এলাকায় সেনা মোতায়েনও করা ছাড়াও নিজেদের উপস্থিতি জাহির করতে নির্মাণকাজ শুরু করে চিনের সেনাবাহিনী। পাল্টা হিসাবে ভারতও নিজেদের সেনা জওয়ানদের উপস্থিতি বাড়ায়। তবে সাম্প্রতিক কালে এলএসি বরাবর এলাকায় সাময়িক উত্তেজনা ছড়ালেও তা স্থানীয় স্তরে সামলে নেয় দু’দেশ।