প্রতীকী ছবি।
দেশের দু’বছরের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে মাত্র ৬.৪ শতাংশই ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাবার পায়। জাতীয় পুষ্টি সমীক্ষার (ন্যাশনাল নিউট্রিশনাল সার্ভে) একটি রিপোর্টে এমনই তথ্য সামনে এসেছে।
ওই সমীক্ষা থেকেই জানা যাচ্ছে, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে সেই সংখ্যাটাই আরও তলানিতে, মাত্র ১.৩ শতাংশ। তবে সিকিমে প্রায় চল্লিশ শতাংশ শিশু যাদের বয়স দু’বছরের নীচে, তারা যথাযথ খাবার পাচ্ছে বলে সমীক্ষার রিপোর্টে জানা গিয়েছে। তার পরে রয়েছে কেরলের স্থান (৩২.৬%)। ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য এগিয়ে রয়েছে তামিলনাড়ু, কর্নাটক, তেলঙ্গানা, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্রের থেকে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সম্প্রতি রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে। গোটা দেশে এই প্রথম এই ধরনের সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করা হল। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় এক লক্ষ দশ হাজার শিশুর বাড়িতে গিয়ে তাদের মায়েদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে। শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মায়েদের খাদ্যাভ্যাস, শিক্ষা এবং পরিবারের বার্ষিক আয়ের তথ্যও নেওয়া হয়েছে। রিপোর্টটি তৈরি করতে মোট ৫১ হাজার শিশু ও কিশোর-কিশোরীর রক্ত এবং মল-মূত্রের নমুনা নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রক কর্তারা জানিয়েছেন।
তবে শুধু শিশুরাই নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে ন’বছর বয়সি বালক-বালিকারাও পুষ্টিকর খাবার পায় না বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে প্রায় ২২ শতাংশেরই উচ্চতা বয়সের হারে বাড়ে না এবং দশ শতাংশের ওজনও স্বাভাবিক নয়। ওই রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, এ দেশে এই বয়সের মধ্যে চার শতাংশ শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। ১০ থেকে ১৯ বছরের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ২৪ শতাংশ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রোগা বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, স্কুলে যাওয়া শিশুদের মধ্যে আবার দশ শতাংশের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।