একটি টুথব্রাশ গিলে ফেলেছিল পাঁচ বছরের ছোট্ট কেশব। কেউ বিষয়টি জানতেও পারেনি। মা-বাবা শুনলে বকতে পারে এই ভয়েও সে তাঁদেরও কিছু বলেনি। এক সপ্তাহ বা দু’সপ্তাহ নয়, এই অবস্থায় টানা এক বছর তার পেটে ব্রাশটি ছিল। ঘটনার কয়েক দিন পর থেকেই মাঝে মাঝে পেটে ব্যাথা হতো। প্রস্রাব করতে গেলেও যন্ত্রণা হতো। বিষয়টি তখনও বলেনি কেশব। কিন্তু যত দিন গড়িয়েছে ব্যাথা বেড়েছে। অবশেষে, কী হয়েছে বিষয়টি জানতে কেশবকে চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যায় তাঁর বাবা-মা। চিকিত্সকরা পরীক্ষা করে দেখেন কেশবের মূত্রথলিতে ৫ সেন্টিমিটারের একটি পাথর রয়েছে, সেই সঙ্গে একটি লম্বা মতো জিনিসও আটকে রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি কী, তা বুঝতে পারছিলেন না। এক্স রে ও আল্ট্রাসাউন্ডেও জিনিসটি কী সেটা ধরা পড়েনি। অবশেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যখন পাথরটি বের করা হয়, সেই সঙ্গে ওই লম্বা মতো বস্তুটিও বের করা হয়। প্রথমে চিকিত্সকরা বুঝতে পারেননি জিনিসটি কী, আর কী ভাবেই বা ওখানে গেল! পরীক্ষা করে তাঁরা দেখে তো হতবাক। একটি আস্ত টুথ ব্রাশ! কেশবের বাবা হেমন্ত শাহু যেন ভুত দেখার মতো চমকে ওঠেন। কেশবকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, শুধু বলে মনে করতে পারছিন না কী ভাবে ওটা পেটে চলে গেল।
চিকিত্সকরা জানান, অনেক ধরনের ঘটনা তাঁরা দেখেছেন। যেমন কয়েন গিলে নেওয়া, পেনের ঢাকনা গিলে নেওয়ার মতো বিষয়ও তাঁদের কাছে এসেছে। কিন্তু টুথ ব্রাশ গিলে নেওয়ার বিষয় এই প্রথম। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনায় সাধারণত বাঁচার সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু এক বছর পেটের মধ্যে ব্রাশটি থাকা সত্ত্বেও যে ভাবে ছেলেটি বেঁচে রয়েছে, তা সত্যিই আশ্চর্যজনক ঘটনা ছাড়া আর কিছু নয়!
আরও পড়ুন...