—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৮টি রাজ্যের মুখ্যসচিব, অর্থসচিবকে দিল্লিতে এসে সুপ্রিম কোর্টে এসে হাজিরা দিতে হল। রাজ্যগুলি বিচারবিভাগীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিচারক, বিচারবিভাগীয় অফিসারদের বেতন, বকেয়া পেনশন, অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধে দিচ্ছে না বলে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ উঠেছিল। যে সব রাজ্যের বিরুদ্ধে গাফিলতির আঙুল উঠেছিল সেগুলির মুখ্যসচিব, অর্থসচিবদের সশরীরে সুপ্রিম কোর্টে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা, অর্থসচিব মনোজ পন্থ আজ সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছিলেন। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, এ বিষয়ে সমস্ত তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, পশ্চিমবঙ্গের তরফে কোনও খামতি থাকলে তা-ও দেখা হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আর কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। কোনও বিল থাকলেও তা তিন সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘মুখ্যসচিব, অর্থসচিবদের দিল্লিতে ডাকতে আমাদের কোনও আনন্দ হয় না। কিন্তু রাজ্যের আইনজীবীরা এই মামলার শুনানিতে নিয়মিত
গরহাজির ছিলেন।’’
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, ছত্তীসগঢ়, অসম, কেরল, বিহার, হরিয়ানা, ওড়িশার মতো রাজ্যের শীর্ষকর্তাদেরও সুপ্রিম কোর্টে হাজির হতে হয়েছিল। হাজির না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সমস্ত রাজ্য বিচারবিভাগীয় বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন, বকেয়া পেনশন ইত্যাদি মিটিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে আজ প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, এর পরে কারও কোনও ক্ষোভ থাকলে তা হাই কোর্টের কমিটি খতিয়ে দেখবে।