কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসের পর পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও ছন্দে ফেরেনি ধস কবলিত পাহাড়ি এলাকার জনজীবন। মেলেনি পুনর্বাসনের টাকাও। এ বার এমনটাই দাবি করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
বৃহস্পতিবার বিজয়ন জানিয়েছেন, ওয়েনাড়ের ভূমিধসে বেঁচে যাওয়া মানুষের পুনর্বাসনের জন্য এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনও রকম আর্থিক সহায়তা আসেনি। তাই আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা থাকা ৭১২.৯৮ কোটি টাকাই দুর্গতদের পুনর্বাসনে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিজয়নের কথায়, প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রের কাছ থেকে ধস কবলিত এলাকায় পুনর্বাসনের জন্য ২,২২১ কোটি টাকা চেয়েছিল রাজ্য। যদিও, পোস্ট ডিজাস্টার নিড্স অ্যাসেসমেন্ট (পিডিএনএ)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এ কাজে আরও টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সেই টাকাটুকুও দেয়নি কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে ইউডিএফ নেতা তথা বিধায়ক কুরুকোলি মঈদিনের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ ভাবেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজয়ন। মঈদিনের প্রশ্ন ছিল, ওয়েনাড়বাসীর পুনর্বাসনের জন্য কত টাকা পাওয়া গিয়েছে। তখনই বিজয়ন জানান, ওই দুর্ঘটনার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও রকম আর্থিক সাহায্যই এসে পৌঁছয়নি। কেউ আবার চিকিৎসার টাকাটুকুও পাননি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, শীঘ্রই পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শেষ হবে। এ জন্য আগামী ৬১ দিনের মধ্যেই জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজয়নের মন্ত্রিসভা। যাঁরা যাঁরা প্রস্তাবিত টাউনশিপে থাকতে চাইবেন না, তাঁদের প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। আর গোটা টাকাটাই দেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে।
গত ৩০ জুলাই ভোররাতে যখন ঘুমে আচ্ছন্ন গোটা গ্রাম, তখনই হঠাৎ প্রবল শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে ওয়েনাড়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই মাটির তলায় চাপা পড়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। এর পরের ক’দিন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সরিয়ে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে গিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু সাড়া মেলেনি। সরকারি হিসাবে প্রাণ হারিয়েছেন ২৮০ জন। সর্বস্বান্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।