ইউএপিএ-র ধারায় অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) সেই জামিন খারিজ করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনা এনআইএ-র চার্জশিট দেখে বেঞ্চের সদস্য প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা মন্তব্য করলেন, “যা শুরু করেছেন আপনারা, এর পরে তো কেউ খবরের কাগজ পড়লেও তাকে দোষী বলবেন!” হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে অভিযুক্তের জামিন খারিজের আর্জি বাতিল করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। ঝাড়খণ্ডের একটি ইস্পাত কারখানার জেনারেল ম্যানেজার সন্তোষ জৈনকে ২০১৮-র ডিসেম্বরে গ্রেফতার করে এনআইএ অভিযোগ আনে, ধৃত ব্যক্তি মাওবাদী সংগঠন ‘তৃতীয় প্রস্তুতি কমিটি’-র সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের হয়ে চাঁদা আদায় করেন।
জৈনের দাবি, ওই মাওবাদী সংগঠন বিশাল অঙ্কের চাঁদা দাবি করায় তিনি তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তার পরেও নাশকতার ঝুঁকি এড়াতে উগ্রপন্থীদের দাবি মতো মোটা টাকা চাঁদা কোম্পানিকে দিতে হয়েছে। এর পরে অভিযোগকারী জৈনকেই এনআইএ গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগের চার্জশিট দিয়ে ইউএপিএ-র বিভিন্ন ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও জঙ্গিদের জন্য টাকা তোলার অভিযোগ আনে। তবে সেই অভিযোগের প্রমাণ হাই কোর্টে দিতে পারেনি এনআইএ। হাই কোর্ট ২০২০-র ডিসেম্বরের নির্দেশে জানায়, কোনও জঙ্গি দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেই প্রমাণ হয় না কেউ ওই দলের সদস্য। জৈনকে জামিনে মুক্তি দেয় হাই কোর্ট। এর পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় এনআইএ।