প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা। ছবি পিটিআই।
বিভিন্ন ট্রাইবুনালে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্র তাঁর নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ করা প্যানেল থেকেও খুশি মতো লোককে বেছে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা। এ জন্য সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ। তাঁরা বলেছেন— ‘সরকার যেন বিচার বিভাগের ধৈর্যের পরীক্ষা না নেয়!’ সরকারকে তাঁরা স্মরণ করিয়ে দেন, ‘এটা গণতান্ত্রিক দেশ। আইনের শাসন তাদের মেনে চলতেই হবে।’ তাদের সুপারিশ করা সবাইকে নিয়োগের জন্য কেন্দ্রকে দু’সপ্তাহের সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “এই সময়ের মধ্যে যদি কাউকে নিয়োগপত্র দেওয়া না-হয়, তবে সরকারকে কারণ দেখাতে হবে— কেন এই ব্যক্তিকে নিয়োগপত্র দেওয়া হল না।”
প্রধান বিচারপতি বলেন, “এনসিএলটি (ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনাল) এবং আইটিএটি (ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপেলেট ট্রাইবুনাল)-এ নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখছি আমাদের সুপারিশ করা প্যানেলের কয়েক জনকে নিয়োগ করা হয়েছে, বাকিদের ওয়েটিং লিস্ট-এ পাঠানো হয়েছে। ৫৪৪ জনকে ইন্টারভিউ করে আমরা ১১ জন জুডিশিয়াল মেম্বার এবং ১০ জন টেকনিক্যাল মেম্বারের নাম প্রস্তাব করেছি। তার মধ্যেও সরকার খেয়ালখুশি মতো নিয়োগ করছে। কেন?” জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, “সব সুপারিশ মানতে সরকার বাধ্য নয়।” এর জবাবে প্রধান বিচারপতি রুষ্ট হয়ে বলেন, “সরকারের এই মনোভাব খুবই দুর্ভাগ্যজনক। করোনার মধ্যেও দেশ ঘুরে আমরা ইন্টারভিউ নিয়েছি। আমাদের সময়ের কি দাম নেই? কিসের ভিত্তিতে প্যানেলের কয়েক জনকে নিয়োগ করা হল, আর বাকিদের হল না— আমাদের জানাতে হবে।”