মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম।
শিকাগো বুথ স্কুলের অর্থনীতিবিদ শরণাপন্ন হলেন কৌটিল্য, তিরুভাল্লুভারের। বাদ পড়ল না উইকিপিডিয়া-ও। অর্থনীতিতে উইকিপিডিয়ার তথ্য নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে হয় না, তা-ও।
অর্থশাস্ত্রের প্রণেতা কৌটিল্য, তামিল দার্শনিক তিরুভাল্লুভারের পথে হেঁটেই আজ মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম যুক্তি দিলেন, ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ-র চার লক্ষ্যের নীতি মানলে অর্থ বা সম্পদ তৈরি পবিত্র কাজের মধ্যে পড়ে। কৌটিল্যর অর্থশাস্ত্র থেকে তিরুভাল্লুভারের তিরুকুরাল থেকেই স্পষ্ট, ভারতীয় ঐতিহ্যের মধ্যেই রয়েছে সম্পদ তৈরির ভাবনা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘অর্থনীতির ইতিহাসের চার ভাগের তিন ভাগ সময় জুড়েই আন্তর্জাতিক অর্থনীতির শক্তি হিসেবে ভারতের দাপট ছিল। তা বিনা কারণে হয়নি। এই সম্পদ তৈরির ঐতিহ্য থেকেই এসেছে।’’ কৌটিল্যের নীতি মেনেই ব্যবসার পরিবেশ সহজ করার কথা বলেছেন সুব্রহ্মণ্যন। সুব্রহ্মণ্যনের যুক্তি, অর্থশাস্ত্রেই বলা রয়েছে, রাজার দায়িত্ব ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎসাহ দেওয়া। তার জন্য জল-স্থলপথ তৈরি করা। বাজার ও বন্দর তৈরি করা।
অর্থশাস্ত্র-র পাশাপাশি অ্যাডাম স্মিথ, ঋকবেদ, ভাগবত গীতা থেকেও উদ্ধৃত করেছেন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা। আবার পরিসংখ্যানের জন্য ভরসা করেছেন উইকিপিডিয়া-র উপরে। সরকারি পরিসংখ্যানের পাশাপাশি আইসিআরএ, সিএমআইই, আইআইএম (বেঙ্গালুরু), ফোর্বস, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্যও কাজে লাগিয়েছেন।
নতুন ও পুরনোর মিশেল, প্রাচীন ভাবনার সঙ্গে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানের এই মিশেল তুলে ধরেই এ বছরের আর্থিক সমীক্ষার প্রচ্ছদের রং ল্যাভেন্ডার। নতুন ১০০ টাকার নোটের রং। তার সঙ্গে মিশেছে পুরনো ১০০ টাকার নোটের রং। যা দেশের সব থেকে পুরনো নোট।