রাম বন গমন প্রকল্প।
দেশের নবম বৃহত্তম রাজ্য ছত্তীসগঢ়। এই রাজ্যের যথেষ্ট ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। পর্যটনের টানে বহু ভ্রমণপিপাসু মানুষ এখানে ছুটে আসেন বার বার। ইতিহাসের বহু নির্দশন যা সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজ্যের নানা প্রান্তে।
পর্যটনকে আরও বেশি করে তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে ভূপেশ বাঘেলের সরকার। এমন বহু জায়গা রয়েছে যা পর্যটকদের অগোচরে রয়ে গিয়েছে। সেই সব জায়গাগুলোকে এ বার পর্যটনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানকার সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে একটি প্রকল্পও শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তাই পর্যটনের সঙ্গে সংস্কৃতিকেও জুড়ে দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে রাজ্য সরকার।
এই প্রকল্পের অন্যতম হল রাম বন গমন ট্যুরিজম। এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে রাজ্যের ঐতিহাসিক এবং পুরাণের দিকগুলো তুলে ধরা হবে। মূলত রামের জীবন সম্পর্কিত এমন ৭৫টি জায়গাকে চিহ্নিত করে সেগুলো পর্যটনের আওতায় আনা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ৯টি জায়গার উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
এই জায়গাগুলো হল কোরিয়া জেলার সীতামঢ়ী-হরচাউকা, রামগড় জেলার সরগুজা, শিবরিনারায়ণ জেলার জঞ্জগির চম্পা, তুরতুরিয়া জেলার বালোদাবাজার, চাঁদখুরি জেলার রাইপুর, রাজিম জেলার গরিয়াবন্দ, সিহাবা-সপ্তর্ষি আশ্রম, জগদলপুর জেলা, রামারাম এবং সুকমা।
পর্যটকদের রামের জীবন সম্পর্কিত জায়গাগুলোর সঙ্গে পরিচিত করাতে এবং পর্যটনকে মেলে ধরতে রাম বন গমন প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। রাম বন গমন পথের মোট দৈর্ঘ্য ২,২৬০ কিলোমিটার।