চেরি ব্লসমের আসর। মেঘালয়ের রি-ভয়ে। —নিজস্ব চিত্র।
নিম্নচাপের জেরে অকালে বর্ষণ এবং তার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছিল মেঘালয়ের বহু প্রতীক্ষিত চেরি ব্লসম উৎসবের উদ্বোধন। তাই তিন দিনের অনুষ্ঠান দুই দিনেই শেষ করতে হবে। আসর বসেছে রি ভয় জেলার ভৈরিম্বং, ম্যাডান কুরকালাংয়ের রি-ভয় জেলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। সেখানে ফ্যাশন শো, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা, কারাওকে প্রতিযোগিতা, ফেরিস হুইলস, জ়িপলাইন, গ্রাফিতি, কয়ার প্রতিযোগিতা ইত্যাদির আসর রয়েছে। পর্যটন মন্ত্রী পল লিংডো জানান, দু’দিনে ৮০ হাজার মানুষের পা পড়তে চলেছে এখানে। চেরি ফুল ফোটে বিশ্বের ১০টি দেশে। চেরি ফুলের জন্য বিখ্যাত জাপানের রাষ্ট্রদূতও ঘুরে গিয়েছেন অনুষ্ঠানস্থল। গান পরিবেশন করবে সানাম, হাইব্রিড থিয়োরি, এসইউআরএল, কেনি মিউজ়িক, ৪র্থ এলিমেন্ট, দ্য ব্যান্ড ফ্যান্টাজ়ম, ডিবিআরওয়াইএন, আমিনিও, ডঃ লেজেন্ড, আমেরিকার নি-য়ো, বয়জ়োনের প্রাক্তন ভোকালিস্ট রোনান কিটিং, জোনাস ব্লু, লোউ মাজাও, ব্লু টেম্পটেশন, মেবান, তোশান এম্পায়ারিক্যাল ট্রাইব ও আরও অনেকে।
মেঘালয়ে সিনেমার শুটিংয়ে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা চান রাজ্যের প্রতিভারাই সিনেমা তৈরি করুন। তা দেখানোর জন্য সিনেমা হল তৈরি হবে সব জেলায়। সিনেমা হল তৈরি করলে তার ৫০ শতাংশ ব্যয় ভার বহন করবে সরকার, রাজ্যে পর্যটন পরিকাঠামো বিকাশ ও হোম স্টে বাড়াতেও দেওয়া হবে ঢালাও সরকারি সাহায্য। সিএম এলিভেট প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের ২০ হাজার উদ্যোগীকে সাহায্য দেওয়া হবে।
রাজ্যে মিউজ়িক স্টুডিয়ো খুললে রাজ্য ৭৫ শতাংশ ভর্তুকি দেবে। নিজে গারো পাহাড়ের বাসিন্দা কনরাড জানান, গারো পাহাড়ে অ্যাডভেঞ্চার পর্যটনের প্রচুর সম্ভাবনা। সেখানে দেশের দীর্ঘতম গুহা, নোকরেক অরণ্য, গুহা ও পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বইতে থাকা নদী দিয়ে নৌকো বাওয়ার মতো পর্যটনের সুযোগ নিতে পারেন পর্যটকেরা। কিন্তু সেখানে এখনও যোগাযোগ ও থাকার সুবিধা তেমন নেই। কনরাডের মতে তুরার বালজাক বিমানবন্দর চালু হলে বাকি উন্নয়নও হবে।