ইতিমধ্যেই বহু বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নগদহীন লেনদেনের ক্ষেত্রে সওয়াল করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে সব সময় নগদ টাকা নিয়ে ঘোরার প্রয়োজন পড়বে না। আর এর জেরে টাকা চুরি হওয়ার ভয় অনেকটাই কমবে।
তবে এই মুহূর্তে চেকবই বাতিল করে ডিজিটাল লেনদেন কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু রয়েছে। দেশের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ এটিএম ব্যবহার করেন। এবং তাঁদের কাছে ডেবিট কার্ড রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএআইটি-র সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, চেকবই বাতিল করার আগে ডিজিটাল লেনদেনের মাত্রা আরও বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত।
নয়তো চেকবইয়ের মাধ্যমে লেনদেন এই মুহূর্তে বন্ধ হলেই ব্যবসার ক্ষেত্রে একটা বিরাট সমস্যা দেখা দেবে।
এই মুহূর্তে ৯৫ শতাংশ ব্যবসায়িক লেনদেন হয় নগদ এবং চেকের মাধ্যমেই।
তাঁর যুক্তি, নোট ছাপানোর জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রশাসন। আবার তা সংরক্ষণের খরচ আরও ৬ হাজার কোটি টাকা।
এ দিকে ডেবিট কার্ডে লেনদেন করলে ব্যাঙ্ক এক শতাংশ চার্জ করে। ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন করলে চার্জ ২ শতাংশ। তাই কেন্দ্রের উচিত এ বিষয়ে ব্যাঙ্ককে সরাসরি ভর্তুকি দেওয়া যাতে গ্রাহকদের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে কোনও খরচ করতে না হয়। অর্থাৎ চেকবই বন্ধ হওয়ার আগে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলেই জানাচ্ছেন তিনি। যদিও এ বিষয়ে আরবিআই-এর তরফে কোনও তথ্য মেলেনি।