কুনোর জঙ্গলে আফ্রিকান চিতার ছানা। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে চারটি চিতাশাবক জন্মেছিল। তাদের মধ্যে গরমে তিনটিই মারা গিয়েছে। একটিমাত্র চিতার ছানা এখনও বেঁচে আছে কুনোর জঙ্গলে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে বন দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এই শাবকটি সুস্থ আছে। দিব্যি হেসেখেলে দিন কাটছে তার। এ দেশে চিতার ভবিষ্যৎ ওই ছানার উপরেই নির্ভর করে আছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
নামিবিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুই দফায় মোট ২০টি চিতা ভারতে এনেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাদের মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে রাখা হয়েছিল। একে একে অনেক চিতারই মৃত্যু হয়েছে। ভারতের মাটিতে জন্মানো চিতাশাবকগুলির মধ্যে গত মে মাসে তীব্র গরমের সময়ে তিনটির মৃত্যু হয়েছে। কেবল একটি শাবককে বাঁচিয়ে রাখা গিয়েছে। বন আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ওই শাবকটির বয়স এখন পাঁচ মাসের কিছু বেশি।
কিন্তু এই শাবকটিকে তার মা চিনতে পারেনি। মা চিতাটির কাছে শাবককে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সন্তানকে আগলে রাখেনি মা। তাই অবিলম্বে মায়ের কাছ থেকে তাকে আলাদা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে বেশি ক্ষণ শাবককে পূর্ণবয়স্ক চিতার কাছে রাখলে সে শাবকটির ক্ষতি করতে পারে।
তবে মায়ের থেকে আলাদা হলেও খুব বেশি দূরে নেই চিতার ছানাটি। গত জুন মাস থেকে মা চিতার পাশেই ৩০ মিটার লম্বা একটি খাঁচায় তাকে রাখা হয়েছে। ১০০ দিনের বেশি সময় সে ভাবেই দিব্যি কাটিয়েছে ছানাটি। এই সময়ের মধ্যে কয়েক বার মা চিতার সঙ্গে তার যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ছানা মায়ের কাছে এগোলেও মা তাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
গত বছর এই সেপ্টেম্বর মাসেই ভারতে প্রথম চিতা এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর জন্মদিনে কুনোর জঙ্গলে নামিবিয়ার আটটি চিতা খাঁচামুক্ত করা হয়েছিল। ভারতে চিতার আগমনের বর্ষপূর্তি হতে আর চার দিন বাকি।