ছবি: সংগৃহীত।
টিআরপি দুর্নীতি নিয়ে ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি), অর্ণব গোস্বামীর টিভি চ্যানেল ও অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নভেম্বরে ১৪০০ পাতার চার্জশিট দিয়েছিল মুম্বই পুলিশ। চলতি সপ্তাহে ৩৪০০ পাতার অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে তারা। আদালতে যা নিয়ে শুনানির সময় অর্ণবের চ্যানেলের আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, মুম্বই পুলিশের বক্তব্য যদি ইডি-র বক্তব্যের সঙ্গে না-মেলে, তবে বুঝতে হবে মুম্বই পুলিশ অকারণে হয়রান করছে অর্ণবকে। এর প্রতিবাদ জানান মুম্বই পুলিশের আইনজীবী কপিল সিব্বল। আদালতে এই সব সওয়াল-জবাবের মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের একটি টুইট।
বিএআরসি-র প্রাক্তন সিইও পার্থ দাশগুপ্তের সঙ্গে অর্ণবের হোয়াটসঅ্যাপে বিনিময় হওয়ার বার্তার কিছু ‘স্ন্যাপশট’ তথা ছবি টুইটে তুলে ধরেছেন ভূষণ। সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপে অর্ণব ও পার্থর কী কথা চালাচালি হয়েছিল, পেশ হওয়া অতিরিক্ত চার্জশিটে ৫০টিরও বেশি পাতা জুড়ে রয়েছে সে সব। ভূষণের টুইট করা ‘স্ন্যাপশট’গুলির সত্যাসত্য যাচাই করা না হলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় তা বিতর্কের ঝড় তুলেছে। কারণ, তাতে দেখা যাচ্ছে, অর্ণব দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও), তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক, এনএসএ এবং অজ্ঞাত কোনও ‘এএস’-এর সঙ্গে তাঁর এত ঘনিষ্ঠতা রয়েছে যে, সরকারি অনেক গোপন তথ্যই তিনি আগেভাগে জানতে পারেন। তা সে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বদলই হোক, বা পিএমও থেকে নৃপেন্দ্র মিশ্রের অপসারণ। এমনকি ওই ‘স্ন্যাপশটে’ দেখা যায়, অর্ণব তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে ‘অপদার্থ’ বলেছেন এবং জানিয়েছেন, স্মৃতি ইরানি ওই পদে থাকলে তাঁর সুবিধা হত। ব্যবসায়িক ফায়দার জন্য ‘এএস’-এর সঙ্গে সম্পর্কের অপব্যহার করা, বিএআরসি থেকে ব্যবসায়িক প্রতিযোগীদের তথ্য জোগাড় করা, অন্য চ্যানেলের বিরুদ্ধে ছক কষার প্রসঙ্গও রয়েছে ভূষণের ফাঁস করা ছবিগুলিতে। ভূষণের মতে, “আইনের শাসন থাকা যে কোনও দেশে এই ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদি জেল হত।”