ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের সম্ভাবনা নিয়ে দিল্লির ক্ষমতার অলিন্দে এখন জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে।
বেঙ্কাইয়া নায়ডু উপরাষ্ট্রপতির প্রার্থী হতেই নগরোন্নয়ন ও তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক খালি হয়েছে। স্মৃতি ইরানিকে বস্ত্রের পাশাপাশি তথ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র সিংহ তোমর গ্রামোন্নয়নের পাশাপাশি দায়িত্ব পেয়েছেন নগরোন্নয়নের। তোমর মধ্যপ্রদেশের ওবিসি নেতা আর স্মৃতিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে মোদী বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এখনও গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্ঘের চাপ ও মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে বিতর্কের জেরে স্মৃতিকে সরাতে বাধ্য হয়েছিলেন মোদী। কিন্তু রাহুল-প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে প্রচারে স্মৃতি আজও সবচেয়ে বড় মুখ।
যদিও বিজেপির শীর্ষ সূত্র বলছে, স্মৃতি তথ্য মন্ত্রকের স্থায়ী মন্ত্রী না-ও হতে পারেন। স্বাধীনতা দিবসের পরে নরেন্দ্র মোদী রদবদল করবেন। মন্ত্রিসভার ‘বিগ ফোর’— অর্থাৎ অর্থ, স্বরাষ্ট্র, বিদেশ ও প্রতিরক্ষাতেও রদবদল করতে পারেন তিনি। শিল্প মহল অনেক দিন থেকেই অরুণ জেটলিকে সরাতে মরিয়া। লোকসভা ভোটের দু’বছর বাকি। এখন ধীরে ধীরে তাঁদের উপর নির্ভরতা বাড়বে। তাই অরুণকে বিদেশ মন্ত্রকে নিয়ে যাওয়া ও স্বাস্থ্যের কারণে সুষমাকে তথ্য-সম্প্রচারে আনার ভাবনা রয়েছে। এ বার রাজনাথ সিংহকে প্রতিরক্ষায় নিয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্রে অন্য কাউকে আনার ভাবনাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের হুমকি চিনের, তবু সংযত দিল্লি
রদবদলের জল্পনা নিয়ে সংসদের লবিতে মন্ত্রীরা বিস্তর আলোচনা চালাচ্ছেন। যেমন, অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতো মোদীর অনুগামী নবীন প্রজন্মের কোনও নেতাকে দলের সভাপতি করে দেওয়া। বিজেপির শীর্ষ নেতারা অবশ্য এ সব জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে বলেছেন, অমিত শাহ মন্ত্রিসভায় আসতে কোনও ভাবেই রাজি নন।
পরিবেশমন্ত্রী অনিল দাভের আকস্মিক মৃত্যুতে মন্ত্রকটি খালি হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডাকে হিমাচলের ভোটের আগে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার কথা হচ্ছে। কলরাজ মিশ্র অবসর নেবেন। শুধু উত্তরপ্রদেশ ভোটের জন্য ওই ব্রাহ্মণ নেতাকে সরানো হয়নি। মহেশ শর্মার হাত থেকে পর্যটন নিয়ে নেওয়ার কথা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সংস্কৃতি ও পর্যটনের বিভাজন হবে। সুষমা তথ্য মন্ত্রকে আসতে রাজি না হলে রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরকেই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। পাল্টা যুক্তি, তথ্যমন্ত্রী সরকারের মুখপাত্র, তাই পূর্ণমন্ত্রীকেই এই দায়িত্ব দেওয়া উচিত। অর্থমন্ত্রী পদের জন্য পীযূষ গয়ালের নাম ঘুরছে।
তবে এই নানা অঙ্কের মধ্যে বিজেপি নেতারা বলছেন, কী হবে তা জানেন শুধু দু’জন। মোদী আর শাহ।