চম্পই সোরেন। — ফাইল ছবি।
রাঁচীর রাজভবনের দরবার হলে শুক্রবার দুপুর সওয়া ১২টায় শপথ নেবেন চম্পই সোরেন। ২৩ বছরের পুরনো রাজ্য ঝাড়খণ্ডের সপ্তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। তাঁর সঙ্গেই মন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারেন, জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশন) জোটের আরও কয়েক জন বিধায়ক।
রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ বৃহস্পতিবার চম্পইকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বুধবার হেমন্ত সোরেন ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পটভূমিকা পাল্টে যায়। তাঁর পরে কে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। হেমন্তের ইচ্ছে ছিল স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রী করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। জোট এবং সোরেন পরিবারের মধ্যেই কল্পনাকে নিয়ে আপত্তি ছিল। শেষ পর্যন্ত চম্পই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ পান।
চম্পই কবে শপথ নেবেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেএমএম নেতা চম্পই, কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম, সিপিআই (এমএল)-এর বিনোদ সিংহ এবং জেভিএম (বর্তমানে কংগ্রেস) বিধায়ক প্রদীপ যাদব রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু তখনও জট কাটেনি। রাজ্যপালের থেকে কোনও আশ্বাস মেলেনি। তবে রাতে রাজভবন চম্পইকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করানোর বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেয়।
তার পরই শুরু হয় তোড়জোড়। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরেই চম্পই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করবেন। তিনি ছাড়া আর কে কে মন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম এবং আরজেডির সত্যানন্দ ভোক্তা মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন চম্পইয়ের সঙ্গে।
নতুন সরকারের মাথাব্যথার কারণ রয়েছে আরও অনেক। বিধায়ক ‘কেনাবেচা’ যে হতে পারে সেই আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশন) জোটের ৩৯ জন বিধায়ককে দু’টি চার্টার্ড বিমানে কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের কোনও রিসর্টে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সরকার গঠন হলেও চিন্তার মেঘ কাটছে না চম্পইয়ের কপাল থেকে। ১০ দিনের মধ্যে আস্থাভোটে ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা’ প্রমাণ করতে হবে। বৃহস্পতিবার তিনি অবশ্য জানিয়েছিলেন ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। উল্লেখ্য, ২৩ বছরের ঝাড়খণ্ডে এই নিয়ে ১২ বার মুখ্যমন্ত্রী বদল হচ্ছে। বাবুলাল মরান্ডি, অর্জুন মুন্ডা, শিবু সোরেন, মধু কোড়া, রঘুবর দাস, হেমন্ত সোরেনরা বিভিন্ন দফায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব সামলেছেন।