অর্ডিন্যান্স জারি করে জাতীয় অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা এক বছরের জন্য পিছিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত পেয়েই অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়। গত মাসে সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে জানিয়েছিল, এ বার থেকে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কোর্সে ভর্তির জন্য দেশ জুড়ে একটিই পরীক্ষা হবে। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে যে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিত, তা মানা হবে না। ওই সব পরীক্ষায় একের পর এক দু্র্নীতির অভিযোগ ওঠায় এই সিদ্ধান্ত নেয় সর্বোচ্চ আদালত।
আচমকা পরীক্ষার ধাঁচ পুরো বদলে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েন রাজ্যের মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুতি নেওয়া ছাত্রছাত্রীরা। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও তামিলনাড়ুর মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করে, পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এই অভিন্ন মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা এক বছরের জন্য স্থগিত রাখা হোক। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই গত ৬ মে প্রথম পর্যায়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দেন প্রায় সাড়ে ছ’লাখ ছাত্রছাত্রী। ২৪ জুলাই পরবর্তী পর্যায়ের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা। কেন্দ্রকে তাঁরা অনুরোধ করেন, আচমকা পরীক্ষার ধরন বদলে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের মানসিক অবস্থার কথা ভেবে দেখতে। পাশাপাশি, বিরোধী দলগুলির সঙ্গেও আলোচনা চালায় কেন্দ্র। সর্বসম্মতিতেই নেওয়া হয় অর্ডিন্যান্স জারি করে প্রবেশিকা পরীক্ষা এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হবে। এই অর্ডিন্যান্স জারির ফলে চিকিৎসক হতে আগ্রহী কয়েক লক্ষ ছাত্রছাত্রী উপকৃত হলেন বলে মনে করা হচ্ছে।