Same Sex Marriage

সমলিঙ্গের বিয়েতে সায় নেই কেন্দ্রের

২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, সমকামিতা দণ্ডণীয় অপরাধ নয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৭ ধারার যে অংশে সমকামিতাকে ‘অপরাধ’ বলা রয়েছে, তা অসাংবিধানিক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিতে নারাজ কেন্দ্র। দিল্লি হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আজ এই কথা জানিয়েছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দেয় না।’’

Advertisement

১৯৫৬-র হিন্দু বিবাহ আইনের আওতায় সমলিঙ্গের বিয়েকেও নথিবদ্ধকরণ করার অনুমতি দিতে হবে, এই মর্মে জনস্বার্থ মামলাটি করেছিলেন অভিজিৎ আয়ার মিত্র, গীতি ঠন্ডানি, গোপীশঙ্কর এম, জি ঊর্বশীর মতো সমকামীদের অধিকার নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া কয়েক জন আন্দোলনকারী। আজ মুখ্য বিচারপতি ডি এন পটেল ও বিচারপতি প্রতীক জালানের ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদনের বিরোধিতা করে তুষার মেহতা বলেন, ‘‘আমাদের সমাজ, আইন বা মূল্যবোধ সমলিঙ্গের বিয়ে মেনে নেবে না। সমলিঙ্গের বিয়ে আসলে ‘দু’জনের মধ্যে প্রতিশ্রুতি’, তার থেকে বেশি কিছু নয়।’’

২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, সমকামিতা দণ্ডণীয় অপরাধ নয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭৭ ধারার যে অংশে সমকামিতাকে ‘অপরাধ’ বলা রয়েছে, তা অসাংবিধানিক। সেই রায়ের প্রসঙ্গ তুলে সলিসিটর জেনারেল আজ বলেন, ‘‘সে দিন শীর্ষ আদালত শুধু সমকামিতার গা থেকে অপরাধের তকমা তুলে দিয়েছিল। এর থেকে বেশি বা কম কিছুই বলা হয়নি।’’

Advertisement

আবেদনকারীদের আইনজীবী রাঘব অবস্থী আদালতে জানান, কোনও সমকামী দম্পতি যখন তাঁদের সম্পর্কটিকে আইনি স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছেন, তখনই বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তাঁদের সাম্যের অধিকার ও জীবনের অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আদালতকে বিষয়টি ‘মুক্তমনে’ দেখার আর্জি জানান অবস্থী। ২১ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement