প্রতীকী ছবি।
কর আদায়ে স্বচ্ছতা আনার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই লক্ষ্যে আয়কর রিটার্নের নতুন ফর্ম চালু করা নিয়ে মে মাসে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ। যেখানে কর ফাঁকি রুখতে আরও কড়া হওয়ার কথা বলে সতর্ক করা হয়েছিল দেশবাসীকে। বিদ্যুৎ বা হোটেলের বিল, শিক্ষা সংক্রান্ত ফি ইত্যাদিতে নজরদারির সেই সব প্রস্তাবই ফের মনে করাল অর্থ মন্ত্রক।
বৃহস্পতিবার মোদী আক্ষেপ করেন, ১৩০ কোটির দেশে মাত্র দেড় কোটি আয়কর মেটান। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, কারা কর দিচ্ছেন না, ঠিক ধরতে পারছে না সরকার। যে কারণে স্বেচ্ছায় কর দিতে বলেও কর আদায়ে ফাঁক না-রাখা ও তার পরিসর বাড়ানোর বার্তা দেওয়া হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে কোথায় নজরদারি চালাবে আয়কর দফতর, তা ফের মনে করিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রক। কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, এই হুঁশিয়ারি ফের দেখিয়ে দিচ্ছে যে, করদাতাদের স্বার্থকে সম্মান না-দিয়ে শুধু খবরের শিরোনামে থাকারই চেষ্টা করছে সরকার।
যাঁরা আয়কর দফতরের নজরে
• বছরে ১ লাখ টাকার বেশি শিক্ষা সংক্রান্ত ফি ও অনুদান।
• বছরে ১ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল।
• বিদেশ ভ্রমণ বা দেশের মধ্যে বিমানের বিজনেস ক্লাসে সফর।
• ২০ হাজার টাকার বেশি হোটেলের বিল
• ১ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়না, ছবি, মার্বল ইত্যাদি কেনা।
• ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ৫০ লক্ষের বেশি টাকা জমা পড়া।
• সাধারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৫ লক্ষের বেশি জমা পড়া।
• বছরে ২০ হাজার টাকার বেশি সম্পত্তি কর।
• ৫০ হাজার টাকার বেশি জীবন বিমার প্রিমিয়াম।
• ২০ হাজার টাকার বেশি স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম।
• শেয়ার লেনদেন, ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট, ব্যাঙ্কে লকার।
এ ছাড়াও রয়েছে
• আয়কর রিটার্ন জমা না-দিলে বেশি হারে টিডিএস কাটার প্রস্তাব।
• যাঁরা ৩০ লক্ষ টাকার বেশি ব্যাঙ্কে লেনদেন করেন, যে সব ব্যবসায়ী ও পেশাদারদের বছরে ব্যবসার অঙ্ক ৫০ লক্ষের বেশি এবং যাঁদের ৪০ হাজারেরও বেশি ভাড়া গুনতে হয়, তাঁদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।