—ফাইল চিত্র।
সুভাষ-বন্দনার সুর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যে আজ সেই ইঙ্গিতই মিলেছে। তবে অনেকেরই মতে, আজকের ভূকৌশলগত রণনীতিতে সুভাষচন্দ্রকে আলাদা করে সামনে নিয়ে এসে কতটা কূটনৈতিক লাভ পাওয়া যাবে, তা স্পষ্ট নয়।
প্রবীণ কূটনীতিবিদ, বর্তমানে মন্ত্রী জয়শঙ্কর অনেকটা মোদীর সুরেই আজ পূর্বতন সরকার তথা কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন। টুইটারে তাঁর মন্তব্য, “ইন্ডিয়া গেটে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি ইতিহাসের এক দীর্ঘমেয়াদী ভুলকে সংশোধিত করল। তিনি এমন এক নেতা, যিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন, ঔপনিবেশিকতার মুখের উপর জবাব দিয়েছিলেন।” এরপরেই বিদেশমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বাধীন ‘নতুন ভারতের’ প্রসঙ্গ তোলেন, যেখানে নেতাজির সম্মান রয়েছে। জয়শঙ্করের টুইট, “এই বার্তা নতুন ভারতের বার্তা। বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের কাছে খাঁটি থাকব।” রাজনৈতিক শিবিরের মতে, সুভাষচন্দ্রকে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্বের সামনে নিজেদের ‘খাঁটি’ প্রমাণ করার কথা বুঝিয়েছেন জয়শঙ্কর। তবে অনেকে মনে করছেন, ঘরোয়া রাজনীতিতে কংগ্রেসকে অস্বিত্বতে ফেলতে সুভাষের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে মোদী সরকার। কিন্তু আজকের দিনে বিশ্বের সামনে সুভাষকে নিয়ে বার্তা দিলে কোন লক্ষ্য পূরণ হবে, তা স্পষ্ট নয়।