অনেক রাজ্যে রাজ্যপাল বদলের জল্পনা

প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে  এ বার প্রার্থী  করা হয়নি। বিজেপির এই নেত্রীকেও রাজ্যপাল করা হতে পারে বলে জল্পনা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ০২:০০
Share:

সুষমা স্বরাজ ও সুমিত্রা মহাজন

নরেন্দ্র মোদীর নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যপালেরও রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

অসুস্থতার কারণে অরুণ জেটলি মোদী মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে চাননি। কিন্তু সুষমা স্বরাজের মতো অভিজ্ঞ নেত্রীও যখন মন্ত্রিসভায় ডাক পেলেন না, সেই সময় থেকেই তাঁর ঠিকানা রাজভবনে হবে বলে দিল্লির অলিন্দে জল্পনা শুরু হয়েছিল। প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে এ বার প্রার্থী করা হয়নি। বিজেপির এই নেত্রীকেও রাজ্যপাল করা হতে পারে বলে জল্পনা হয়েছিল। শুধু রাজনীতিকই নন, কিছু আমলাকেও রাজ্যপাল করার সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। কেন্দ্রের অর্থ ও রাজস্বসচিব হিসেবে কাজ করা হসমুখ আঢ়িয়ার নাম নিয়েও জল্পনা চলছে। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ মাসেই। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সচিব করার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নৃপেন্দ্র মিশ্রেরও কী পরবর্তী ঠিকানা হবে কোনও রাজভবন?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের মতে, এখনই চূড়ান্ত কোনও নাম স্থির না হলেও অনেক রাজ্যের রাজ্যপাল চার বছরের বেশি সময় কাটিয়ে দিয়েছেন। যেমন, পশ্চিমবঙ্গের কেশরীনাথ ত্রিপাঠী, উত্তরপ্রদেশের রাম নাইক, গোয়ায় মৃদুলা সিন্‌হা, গুজরাতে ওম প্রকাশ কোহলি, ঝাড়খণ্ডের দ্রৌপদী মুর্মু, কর্নাটকের বিজুভাই বালা, কেরলের পি সদাশিবম, মহারাষ্ট্রে বিদ্যাসাগর রাও, রাজস্থানে কল্যাণ সিংহ, নাগাল্যান্ডের পদ্মনাভ আচার্য। এ ছাড়া কিছু রাজ্যের রাজ্যপাল একসঙ্গে একাধিক রাজ্য সামলাচ্ছেন। যেমন তেলঙ্গানায় একজন পূর্ণ মেয়াদের রাজ্যপাল প্রয়োজন। ইএসএল নরসিংহন অন্ধ্রের পাশাপাশি তেলঙ্গানার দায়িত্বে রয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলও ছত্তীসগঢ়ের ভার সামলাচ্ছেন। ফলে অবিলম্বে দুটি রাজ্যের জন্য রাজ্যপাল প্রয়োজন।

Advertisement

বিজেপির এক সূত্রের মতে, পাঁচ বছর আগে নরেন্দ্র মোদী যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সেই সময়ে রাজ্যে-রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের নিযুক্ত রাজ্যপালেরা ছিলেন। ফলে তাঁদের অনেককে সরানোর তাগিদ ছিল। এ বারে সেটি নেই। সে সময় শীলা দীক্ষিত থেকে কে শঙ্করনারায়ণনের মতো রাজ্যপালদের উপরে চাপ বাড়ানো হয়। শঙ্করনারায়ণ সরতে রাজি ছিলেন না বলে তাঁকে মহারাষ্ট্র থেকে মিজোরামে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু সে রাজ্যে যেতে রাজি ছিলেন না তিনি। কেরলের রাজ্যপাল পদ থেকে শীলাকেও সরে যেতে বলা হয়। বেশ কয়েকদিন টালবাহানার পরে অবশেষে তিনিও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। এ বারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে একে একে রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠকও শুরু করে দিয়েছেন অমিত শাহ।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement