COVID Vaccine

Covid Vaccine: মার্চের মধ্যে টিকা শিশুদের, জানিয়ে দিল কেন্দ্র

কোন শিশুদের এবং কী ধরনের কো-মর্বিটিডিটি থাকলে আগে প্রতিষেধক দেওয়া হবে, তার তালিকা শীঘ্রই চূড়ান্ত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২১ ০৬:৫৮
Share:

তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই আশার কথা ফাইল চিত্র

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে চিন্তা শিশুদের নিয়েই। তাই তাদের যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেওয়া যায় তা নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

কোভিড টিকা সংক্রান্ত সরকারের উপদেষ্টা কমিটির প্রধান এন কে অরোড়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে সুস্থ শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। ভারতে করোনার দাপট নিয়ে বলতে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, জ্বর, ম্যালেরিয়ার মতো করোনা নিয়েই ভারতবাসীকে বাঁচতে হবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা প্রতিষ্ঠান (এনআইডিএম)-এর গঠিত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি, সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদেরও। শিশু ও অল্পবয়সিদের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। অরোড়া জানিয়েছেন, আগামী মার্চের মধ্যেই সুস্থ শিশুদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে। কিন্তু কো-মর্বিডিটি রয়েছে বা জন্ম থেকেই কোনও রোগে ভুগছে এমন শিশুদের আগে টিকাকরণ হবে। কোন শিশুদের এবং কী ধরনের কো-মর্বিটিডিটি থাকলে আগে প্রতিষেধক দেওয়া হবে, তার তালিকা শীঘ্রই চূড়ান্ত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Advertisement

বর্তমানে ১২ বছরের বেশি বয়সিদের টিকাকরণের তোড়জোড় চলছে। অরোড়া জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর থেকে সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। তাঁর কথায়, ‘’১২-১৭ বছর বয়সিদের সংখ্যা ১২ কোটি। তার এক শতাংশের কো-মর্বিডিটি রয়েছে। এটা খুব একটা কম নয়।’’

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে গোটা দেশ। এই অতিমারির শেষ কোথায়? হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা জানিয়েছেন, আগামী দিনে ভারতীয় সমাজকে করোনাভাইরাসকে নিয়েই বাঁচতে হবে (এনডেমিক পর্যায়)। অর্থাৎ, একটি দেশের জনসংখ্যা ভাইরাসের সঙ্গে বসবাস করতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। অতিমারির চেয়ে এটা সম্পূর্ণ আলাদা। তাঁর কথায়, ‘‘ভবিষ্যতে আমাদের করোনাভাইরাসকে নিয়েই বাঁচতে হবে, আমরা সম্ভবত সেই পর্যায়ে ঢুকে পড়েছি। সে ক্ষেত্রে সংক্রমণের মাত্রা হবে খুব কম বা মাঝারি ধরনের। গত কয়েক মাসে দেশে সংক্রমণের যে বহর দেখা গিয়েছিল, এখন সেই মারাত্মক মাত্রা দেখা যাচ্ছে না।’’ ভারতের প্রথম ম্যাসেঞ্জারআরএনএ প্রতিষেধক তৈরি করল জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস। প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ায় পরবর্তী ধাপে মানবদেহে প্রয়োগমূলক পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement