ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৩৮তম প্রগতি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই
স্কুলের পড়ুয়ারা খাবার পায় স্কুলে। কেরল শুরু করেছিল সবার আগে, ১৯৮৪ সালে। ১৯৯৫ সলের ১৫ অগস্ট থেকে চালু রয়েছে কেন্দ্রের মিড-ডে মিল প্রকল্প। সেই প্রকল্পেরই মোড়ক বদল করে বুধবার ‘পিএম-পোষণ অভিযান’ ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
‘প্রি-প্রাইমারি’ তথা ‘বাল বাটিকা’-র শিশুরাও নতুন প্রকল্পের আওতায় আসবে। সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মোট ১১.২ লক্ষ স্কুলের পড়ুয়ারা এর সুবিধা পাবে। পাঁচ বছরে এই প্রকল্পে ১.৩১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। দাবি, রাজ্যের সঙ্গে যৌথ ভাবে পরিচালিত হলেও কেন্দ্রের ভাগ থাকবে বেশি। তবে মিড ডে মিলের নাম বদল নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘সব কিছুতেই ব্যক্তিপুজো চলতে পারে না। এই তহবিলে রাজ্যেরও অর্থ আছে।’’
বিরোধীরা আপত্তি তুললেও, প্রধানমন্ত্রীর টুইট, “অপুষ্টির সমস্যা মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টা করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নবীন প্রজন্মের সুবিধার্থে ‘পিএম-পোষণ’ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আজকের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
অভিযোগ উঠেছে এই মোদীই ক্ষমতায় এসে মিড-ডে মিল প্রকল্পের ক্ষতি করেছিলেন বরাদ্দ কমিয়ে দিয়ে। ২০১৪ সালে এই প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছিল ১৩,২১৫ কোটি টাকা। পরের বছর সেটা কমিয়ে ৭৭৭৫ কোটি টাকা করে দেওয়া হয়। এখন নাম বদলে সেই মিড-ডে মিল প্রকল্পেরই কৃতিত্ব নিতে চাইছেন মোদী।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এ দিন আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। রফতানিকারী ও ব্যাঙ্কগুলিকে সহায়তা জোগাতে ‘এক্সপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’ তথা ইসিজিসি-তে আগামী পাঁচ বছরে ৪৪৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। সরকারের মতে, এতে ৫৯ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হবে। যার মধ্যে ২.৬ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে সংগঠিত ক্ষেত্রে। এ ছাড়া, ‘ন্যাশনাল এক্সপোর্ট ইনশিয়োর্যান্স অ্যাকাউন্ট’ প্রকল্পে ১৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
আগামী তিন বছরের মধ্যে নীমচ-রতলাম এবং রাজকোট-কানালুস রেল পথে ডাবল লাইন পাততে যথাক্রমে ১০৯৬ কোটি টাকা ও ১০৮০ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।