শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। -ফাইল চিত্র।
দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগে শাহিন বাগ নিয়ে কিছুটা সুর নরম শোনাল বিজেপির গলায়। শাহিন বাগের রাস্তায় গত দুমাসেরও বেশি সময় ধরে বসে থাকা প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাপ্রকাশ করল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
শনিবার বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ টুইট করে জানিয়েছেন সে কথা। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘ নরেন্দ্র মোদীর সরকার শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলতে চায়, সিএএ নিয়ে তাঁদের যাবতীয় সংশয় দূর করতে চায়।’
শাহিনবাগে এসে তাঁদের সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’ করুন প্রধানমন্ত্রী, এমন দাবি প্রথম থেকেই করে আসছেন প্রতিবাদীরা। কিন্তু এতদিন তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার প্রতিশ্রুতির পরিবর্তে প্রতিবাদীদের মিলে এসেছে কখনও ‘গুলির মারা’র হুমকি, কখনও ক্ষমতায় এলেই ‘শাহিনবাগ খালি করে দেওয়া’র হুঁশিয়ারি, তো কখনও শাহিবাগকে ‘পাকিস্তান’ বলে মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়েছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাতেও এনআরসি, সিএএ নিয়ে প্রতিবাদীদের একচুলও নড়াতে পারেনি। বরং প্রতিবাদের আঁচ আরও বেশি করে লেগেছে বিজেপির গায়ে।
আরও পড়ুন: করোনা-রোগীর বিমানসঙ্গী ছয় বঙ্গবাসীর খোঁজ
তার উপর সামনেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। শাহিন বাগে কখনও স্লোগান উঠছে, ‘কালা কানুন ওয়াপস লো। কখনও বা সকলে গলা মেলাচ্ছেন, ‘আজাদি’-র আওয়াজে। দিল্লির কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে এ ভাবেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের করা আইনের বিরোধিতায় রাতের পর রাত কাটাচ্ছেন শাহিন বাগের মহিলারা। এর প্রভাব যাতে নির্বাচনে না পড়ে, তার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। সে কারণেই অন্যান্য সমস্ত বিষয় ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র শাহিন বাগ নিয়েই মেরুকরণের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু দেশ যে ভাবে এনআরসি, সিএএ নিয়ে ক্ষোভে ফুটছে, তার আঁচ যে শুধুমাত্র মেরুকরণ দিয়ে বোঝানো সম্ভব নয়, তা বিজেপি নেতারা টের পাচ্ছেন হাড়ে হাড়েই, আর সে কারণেই এতদিনে শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতিকদের একাংশ।