প্রতীকী ছবি।
এক দিকে ভিআইপি সুযোগসুবিধে নিয়ে যখন রাশ টানার কথা বলছেন নরেন্দ্র মোদী, তখন দেখা যাচ্ছে তাঁর জমানাতেই সেই ভিআইপি তালিকাটা বেশ লম্বা। এ বার ভিআইপি নিরাপত্তার তালিকায় কাটছাঁট করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দিল কেন্দ্র। কংগ্রেস জমানায় যেখানে ৩৫০ জনকে ভিআইপি নিরাপত্তা দেওয়া হত, সেখানে এখন সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৪৭৫-এ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাম্প্রতিক তালিকা বলছে, এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন: পালিয়ে হিমাচলে গা ঢাকা দেওয়ার ছক কষেছিল রাম রহিম
মন্ত্রক সূত্রে খবর, বেশ কিছু রাজনীতিক রয়েছেন যাঁদের নিরাপত্তার জন্য এনএসজি ও আধাসেনা দেওয়া হয়, তাঁদের কয়েক জনের ক্ষেত্রে এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। জেড প্লাস নিরাপত্তা পাচ্ছেন এমন মানুষ রয়েছেন ৫০ জন। যেখানে ইউপিএ আমলে সংখ্যাটা ছিল ২৬। এই ক্যাটাগরির নিরাপত্তার জন্য সাধারণত ৩৫-৪০ জন নিরাপত্তাকর্মীকে মোতায়েন করা হয়। জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তার জন্য ৩০ জন এবং ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির জন্য মোতায়েন করা হয় ১১ জনকে। ভিআইপিদের নিরাপত্তা দেওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।
জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান এমন ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন বাবা রামদেব, ধর্মগুরু মাতা অমৃতানন্দময়ী। আবার ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে রাম জন্মভূমি স্রাইন বোর্ড-এর চেয়ারম্যান মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস এবং বিজেপি-র বিতর্কিত সাংসদ সাক্ষী মহারাজের মতো ব্যক্তিদের। শুধু রাজনৈতিক নেতারা নন, তালিকায় দেখা যাচ্ছে নেতানেত্রীদের ১৫ জন সন্তানকেও এনএসজি সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিজেপি-র তামাক খাচ্ছেন ঋতব্রত, ক্ষোভ বিজয়নদের
কোনও সাংসদ বা বিধায়ক না হওয়া সত্ত্বেও এনএসজি এবং সিআরপিএফ সুরক্ষা পাচ্ছেন লালু প্রসাদ যাদব। তাঁকে এই মুহূর্তে এ ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া যায় কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। ঠিক একই ভাবে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ এবং ডিএমকে সুপ্রিমো এম করুণানিধি-র নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হতে পারে।
এই মুহূর্তে সিআরপিএফ সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে ৭৫ জনকে যাঁদের মধ্যে আছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তেমনই ৭৫ জন পাচ্ছেন সিআইএসএফ নিরাপত্তা এবং ১৮ জনকে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আইটিবিপি জওয়ানদের।