বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে নতুন আইনের ভাবনা কেন্দ্রের

স্বামীর বিরুদ্ধে কি ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারবেন স্ত্রী? নরেন্দ্র মোদী সরকার জানাচ্ছে, আইন সংশোধন করে সেই ব্যবস্থার বিরোধী নয় তারা। তবে এ বিষয়ে আইনের পর্যালোচনা প্রয়োজন। আইন কমিশন সে কাজ করছে। তাদের রিপোর্ট পেলে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৩:৪৪
Share:

স্বামীর বিরুদ্ধে কি ধর্ষণের অভিযোগ আনতে পারবেন স্ত্রী?

Advertisement

নরেন্দ্র মোদী সরকার জানাচ্ছে, আইন সংশোধন করে সেই ব্যবস্থার বিরোধী নয় তারা। তবে এ বিষয়ে আইনের পর্যালোচনা প্রয়োজন। আইন কমিশন সে কাজ করছে। তাদের রিপোর্ট পেলে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র।

স্বামী-স্ত্রী-র সম্পর্কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি আইনের আওতায় আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই সরব বিভিন্ন শিবির।

Advertisement

আজ এ নিয়ে রাজ্যসভায় একটি বেসরকারি বিল আনেন কংগ্রেসের অবিনাশ পাণ্ডে। সরকারের পক্ষে জবাব দিতে ওঠেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তিনি স্পষ্টই জানান, সরকার অবিনাশ পাণ্ডের বিলের বক্তব্যের বিরোধী নয়।

রিজিজুর মতে, ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন নিয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে এগোনো উচিত নয় বলেই মনে করে সরকার। ২০১০ সালেই আইন কমিশনকে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ আইন (ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট) পর্যালোচনা করতে বলেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আবার একটি সংসদীয় কমিটিও এই বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি খুব জটিল। এই সম্পর্ক এত গোপনীয় যে যৌন সম্পর্কে সম্মতি ছিল কি না তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না।’’

তবে আইন কমিশন সংসদের মনোভাবের কথা জানে বলে দাবি রিজিজুর। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে মহিলাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা নিয়ে বিধান আছে। তবে এই বিষয়ে কমিশনের রিপোর্ট এলেই আইন সংশোধন নিয়ে সংসদের দ্বারস্থহব। যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট দেবে কমিশন।’’ রিজিজুর অনুরোধে পাণ্ডে বেসরকারি বিলটি প্রত্যাহার করে নেন।

বিতর্কের সময়ে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন বলেন, ‘‘যদি আপনারা মনে করেন স্বামী ধর্ষণ করলে তা অপরাধ, তবে আর অপেক্ষা করছেন কেন?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement