সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে, প্রথম ধাপে ৩০ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। যে তালিকার মধ্যে পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সমস্ত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। প্রতীকী ছবি
সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের সাধারণ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার পদ্ধতিগত নির্দেশিকা জারি করা হল। নির্দেশিকায় বিস্তারিত বলা হয়েছে, কী ভাবে ভারতের সাধারণ মানুষের টিকা পৌঁছে যাবে। সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে, প্রথম ধাপে ৩০ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। যে তালিকার মধ্যে পড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মী-সহ সমস্ত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। এ ছাড়াও তালিকায় থাকবেন যাঁদের বয়স পঞ্চাশের বেশি ও যাঁদের ‘কো-মর্বিডিটি’ রয়েছে তাঁরাও।
পদ্ধতিগত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন এক একটি অর্ধে ১০০ থেকে ২০০ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। টিকা দেওয়ার পর আপাত ভাবে ৩০ মিনিট টিকাপ্রাপ্তের উপর নজর রাখা হবে, কোনও খারাপ প্রভাব তাঁর স্বাস্থ্যে পড়ছে কি না সেটি দেখার জন্য। টিকা দেওয়ার জন্য পাঁচ জনের এক একটি দল তৈরি করা হবে।
যদি টিকা দেওয়া হচ্ছে যেখানে, সেই কেন্দ্রটিতে বেশি জায়গা থাকে, তাহলে এক একটি অর্ধে ২০০ জন করেও টিকা দেওয়া হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রেও দূরত্ববিধি মেনে পুরো কাজটা করতে হবে। টিকা নেবেন যাঁরা, তাঁদের তালিকাভুক্ত ১২টি পরিচয়পত্র, যেমন ভোটারকার্ড, আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট বা পেনশন নথি লাগবে। পুরো বিষয়টির হিসাব রাখা হবে ‘কোভিড ভ্যাকসিন ইন্টিলিজেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর মাধ্যমে। সেখানে যাঁরা টিকা পাচ্ছেন তাঁদের নাম নথিভুক্ত থাকবে। পরিচয়পত্র সেই নথিভুক্তিকরণের সময় কাজে লাগবে।
তবে টিকা নেওয়ার জন্য আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। কেন্দ্রে নথিভুক্তকরণের কোনও ব্যবস্থা থাকবে না। আগে নথিভুক্ত করা নামের ভিত্তিতে, গুরুত্ব বুঝে টিকা দেওয়া হবে। সরকার একটি নির্দিষ্ট অংশে একটি নির্দিষ্ট সংস্থার তৈরি টিকাই দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে একাধিক টিকা মিশে না যায়। দায়িত্ব থাকছে রাজ্য সরকারেরও। কোনওরকম সামাজিক সমস্যা এড়াতে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে কাজ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড্ডার গাড়িতে হামলার জের, কৈলাসও পেলেন বুলেটপ্রুফ গাড়ি
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা কেন ফেরত, ফিরহাদকে চিঠি আসানসোলের তৃণমূল ‘মেয়রের’