প্রতীকী ছবি।
মূল্যবৃদ্ধি বিরোধীদের অস্ত্র হয়ে উঠছে দেখে লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত অন্তত চাল ও গমের দামে লাগাম পরিয়ে রাখতে চাইছে মোদী সরকার। সেই লক্ষ্যে আজ মোদী সরকার গমের মজুতদারিতে ঊর্ধ্বসীমা জারি করেছে। গত ১৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। আগামী বছর লোকসভা ভোট। ২০২৪-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই ঊর্ধ্বসীমা জারি থাকবে। গমের পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি গুদাম থেকে বাজারে চালও ছাড়া হবে। কারণ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, খুচরো বাজারে চালের দাম গত এক বছরে ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। পাইকারি বাজারে ১০ শতাংশের বেশি হারে বেড়েছে।
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, গম ও আটার দাম বাড়লে আসন্ন হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলির ভোটেও বিজেপিকে তার খেসারত দিতে হত। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, খুচরো বিক্রেতারা ১০ টনের বেশি গম রাখতে পারবেন না। ব্যবসায়ী, পাইকারি বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে তিন হাজার টন গম মজুতের ঊর্ধ্বসীমা থাকবে। একেবারে ২০২৪-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা, তার পরেই নতুন ফসল বাজারে আসবে। গমের দামে লাগাম পরিয়ে রাখতে খোলা বাজারে ১৫ লক্ষ টন গম বিক্রি করা হবে। খাদ্যসচিব বলেন, কতটা চাল বাজারে ছাড়া হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে গমের মতো চালও মজুত করে ভবিষ্যতে যারা মুনাফার আশা করছে, তাদের জন্য সরকার বার্তা দিচ্ছে, চালের দাম স্থিতিশীলই থাকবে।
ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে কর্নাটকের নির্বাচনে মূল্যবৃদ্ধি কংগ্রেসের প্রধান অস্ত্র ছিল। খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার এখন কিছুটা কমে এলেও গত এক মাসে ফসলের মান্ডিতে গমের দাম প্রায় ৮% বেড়েছে। খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়া বলেন, ‘‘এখনও পাইকারি বা খুচরো বাজারে গমের দামে এর ধাক্কা না লাগলেও খুব শীঘ্রই এর প্রভাব দেখা যাবে। দেশের বাজারে গমের অভাব নেই। সরকারি গুদামেও যথেষ্ট গম রয়েছে। তা সত্ত্বেও গমের দাম বৃদ্ধির অর্থ, বেশি দামের আশায় অসৎ ব্যক্তিরা মজুতদারি করছেন। তাই মজুতদারির উপরে ঊর্ধ্বসীমা জারি হয়েছে।”