ছবি: রয়টার্স
আফগানিস্তানের নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা রাখার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল ভারত। কিন্তু কাবুলের সরকার গড়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা থাকায় এখনই সে দেশের সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ নয়াদিল্লি।
গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখল করে গোটা দেশের শাসনভার নিজের হাতে নেয় তালিবরা। কিন্তু তার পরে প্রায় ১২ দিন কেটে গেলেও সে দেশে সরকার গড়া নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারেনি তালিবরা। আগামী দিনে আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গড়লে ভারত কি তাদের স্বীকৃতি দেবে? এই প্রশ্নের উত্তরে আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘ওই দেশে কারা সরকার গড়ছে, তা একেবারেই স্পষ্ট নয়। বিশেষ করে ওই সরকারে কারা স্থান পাচ্ছে, তা দেখে নিতে চাইছে ভারত। কিন্তু বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি বেশ জটিল। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল, সে দেশ থেকে নাগরিকদের নিরাপদে নিয়ে আসা। তা ছাড়া সেখানে কে সরকারের মুখ হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের রটনা জারি রয়েছে। যে হেতু সরকার গড়া নিয়ে কাবুলে এখনও আলোচনা জারি রয়েছে, তাই এখনই সেই সরকারকে নয়াদিল্লি স্বীকৃতি দেবে কি না, সেই উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।’’
তবে কাবুলে আটক ভারতীয়দের ফেরানো ছাড়াও সে দেশের শিখ ও হিন্দু নাগরিকদের ফেরানো নিয়ে তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা যে জারি রয়েছে, তা ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের ওই কর্তা। এখনও বেশ কিছু ভারতীয় সেখানে আটকে রয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের হিসেবে এখন পর্যন্ত ৫৫০ জনকে কাবুল থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ২৬০ জন ভারতীয়। বাকিরা হিন্দু ও শিখ আফগান শরণার্থী। বাগচী বলেন, ‘‘প্রায় অধিকাংশ ভারতীয়কেই ওই দেশ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। সামান্য কিছু ব্যক্তি সে দেশে আটকে থাকতে পারেন, যাঁদের সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।’’ তবে কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছতে শিখ ও হিন্দু আফগান নাগরিকদের সমস্যা হচ্ছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘সে কারণে গত ২৫ অগস্টের উড়ানটি মাত্র ৪০ জনকে নিয়ে ভারতে ফিরে আসে।’’