এখন অগ্নিমূল্য। -ফাইল ছবি।
রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, বাজারে, দোকানে। কোথাও কোথাও ১০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দামে রাশ টানতে পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য মজুতের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এ বছরের শেষ পর্যন্ত। যাতে পেঁয়াজের বাজারকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
গত মাসে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনের পর এই প্রথম কোনও পণ্য মজুত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হল।
কেন্দ্রীয় নির্দেশে বলা হয়েছে, গত ২৩ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাইকারি ব্যবসায়ীরা ২৫ টনের বেশি এবং খুচরো ব্যবসায়ীরা ২ টনের বেশি পেঁয়াজ মজুত করে রাখতে পারবেন না।
কেন্দ্রের ক্রেতা বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব লীনা নন্দন গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বাজারে পেঁয়াজের দাম উত্তরোত্তর বাড়বে আঁচ করে পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীরা যে যতটা পারছিলেন পেঁয়াজ মজুত করে রাখছেন আরও মুনাফার আশায়। এতে পেঁয়াজের জোগানে ঘাটতি হচ্ছে। ফলে দাম আরও চড়ছে। এটা যাতে আর না হয় সে জন্যই এ বার পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্য পেঁয়াজ মজুত করার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হল। ক্রেতাদের সুবিধার্থে।’’
আরও পড়ুন: ‘আপত্তিকর পোস্ট’ আইন আপাতত কার্যকর নয়, ঘোষণা বিজয়নের
আরও পড়ুন: গালভরা বক্তৃতায় চিনের মোকাবিলা অসম্ভব, ডোকলাম নিয়ে সরব রাহুল
সম্প্রতি একটি কেন্দ্রীয় সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাস থেকেই দেশে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। একটি সমীক্ষা জানিয়েছে, আগামী ৩ মাস এই মু্দ্রাস্ফীতি কমার তো কোনও লক্ষণ নেই-ই, বরং তা আরও বাড়বে। এই মুদ্রাস্ফীতির ৪৬ শতাংশই হচ্ছে আলু, পেঁয়াজ, ডিম আর টম্যাটোর দামের জন্য।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন শহরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে আলু, পেঁয়াজের দাম। তাতে রাশ টানতে প্যাকেটে ভরা আনাজপাতি বিদেশে রফতানি কমিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যান্য দেশ থেকে আনাজ আমদানির পরিমাণও বাড়ানো হয়। তা ছাড়াও বাফার স্টক থেকে ৪০ হাজার টন পেঁয়াজ খুচরো বাজারে সরবরাহ করা হয়, দামের ঊর্ধ্বগতিতে রাশ টানতে।
গত ২১ অক্টোবর সারা দেশে পেঁয়াজের গড় খুচরো দাম ছিল কেজি-পিছু ৫৫ টাকা। যা আগের বছরের এই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানেই জানানো হয়েছে, অতিবৃষ্টির দরুন ফলনের ক্ষতি হওয়ায় এ বার সেপ্টেম্বর থেকে আলু, পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে পড়েছে।