Booster Shot

Booster dose: বাড়ল বুস্টার, কেন্দ্র ৫ কোটি টিকা চাইল

কো-উইন জানাচ্ছে, শুক্রবার সারা দেশে টিকা নিয়েছিলেন ১৮.৮৭ লক্ষ মানুষ। বুস্টার নিয়েছিলেন ১৮-৫৯ বছর বয়সি ৮.৮১ লক্ষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২২ ০৮:৩৩
Share:

ফাইল ছবি

দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ আবার কুড়ি হাজার পেরোল। দৈনিক মৃত্যুও ফের পঞ্চাশের কাছাকাছি। ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ সামলাতে আগামী ৭৫ দিন দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ককে সরকারি চিকিৎকেন্দ্রগুলি থেকে বিনামূল্যে সতর্কতামূলক বা বুস্টার ডোজ় দেওয়ার কর্মসূচি আজ শুরু করেছে কেন্দ্র। রাতে কো-উইন ড্যাশবোর্ড বলছে, আজ সারা দিনে গত কালের চেয়ে ৪ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ (১৮ থেকে ৫৯ বছরের) বুস্টার ডোজ় নিয়েছেন।

Advertisement

কো-উইন জানাচ্ছে, গত কাল সারা দেশে টিকা নিয়েছিলেন ১৮.৮৭ লক্ষ মানুষ। বুস্টার নিয়েছিলেন ১৮-৫৯ বছর বয়সি ৮.৮১ লক্ষ। আজ টিকা নিয়েছেন ২২ লক্ষেরও বেশি। বুস্টার গ্রহীতার সংখ্যা রাত ৯টায় ছিল ১৩.২৩ লক্ষ। দেশের আমজনতাকে পয়সা খরচ করে বুস্টার নিতে হবে কেন, বিরোধীরা সেই প্রশ্ন আগেই তুলেছিলেন। দেখা যাচ্ছে, বিনামূল্যে বুস্টার দেওয়া শুরু হওয়ায় অনেক বেশি মানুষ তা নিয়েছেন প্রথম দিনেই।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে টিকা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক জোট ‘গাভি’-র কাছে প্রাপ্য পাঁচ কোটি ডোজ় কোভিশিল্ড চাওয়া হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। ‘কোভ্যাক্স’ প্রকল্পে বিনামূল্যে ১০ কোটি ডোজ় কোভিশিল্ড পাওয়ার কথাই ছিল ভারতের। তার থেকেই পাঁচ কোটি আপাতত চাওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, কোভিশিল্ড নির্মাতা সিরাম ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর (সরকারি ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক) প্রকাশ কুমার সিংহ গত এপ্রিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে চিঠি লিখে গাভি-র কাছে নিখরচায় প্রাপ্য ওই ১০ কোটি ডোজ় কোভিশিল্ড আদায় করতে বলেছিলেন। এই টিকা সময় মতো ব্যবহার করা না গেলে তা নষ্ট হবে বলেও নাকি সরকারকে মনে করিয়ে দিয়েছিল সিরাম। আপাতত এই পাঁচ কোটি ডোজ় টিকা দেওয়ার পরে দেখা হবে, বাকি পাঁচ কোটিও অবিলম্বে প্রয়োজন কি না। সে ক্ষেত্রে তা-ও চাওয়া হবে।

Advertisement

কাল এক বৈঠকে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বুস্টার ডোজ় দেওয়ার উপরে বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশভূষণ। তিনি জানান, ১৮-৫৯ বছর বয়সিদের মাত্র ৮ শতাংশ এবং ৬০ ও তার বেশি বয়সিদের ২৭ শতাংশতৃতীয় ডোজ় নিয়েছেন। রাজ্যগুলিকে চার ধাম যাত্রা (উত্তরাখণ্ড), অমরনাথ যাত্রা (জম্মু-কাশ্মীর), কাঁওয়ার যাত্রা (উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল)-র মতো ধর্মীয় ও তীর্থযাত্রার রাস্তায়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেলায় ও জমায়েতে বিশেষ টিকাকরণ কেন্দ্র খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া, বড় অফিস কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক ভবন, রেলস্টেশন, আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস, স্কুল-কলেজে টিকাকেন্দ্র চালুর পরামর্শ দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement