Law Ministry

পিছু হঠল আইনমন্ত্রক, বিচারপতি যোসেফকে নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টে

কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনেই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ করে কেন্দ্র। কলেজিয়ামের সুপারিশ না মানার নিদর্শন খুব একটা নেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৮ ১৭:৪৬
Share:

সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

শেষ পর্যন্ত পিছু হঠল কেন্দ্র। বিচারপতি কে এম যোসেফকে শীর্ষআদালতে নিয়োগ করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশই মেনে নিল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক।

Advertisement

উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে এম যোসেফের নিয়োগ নিয়েই আইনমন্ত্রক বনাম বিচারব্যবস্থার সংঘাত শুরু হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের ( যাঁরা শীর্ষ আদালতে বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ করেন) প্রস্তাব মেনে বিচারপতি কে এম যোসেফকে শীর্ষ আদালতে নিয়োগে নারাজ ছিল আইনমন্ত্রক। সেই মতো সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশ প্রথমে খারিজও করে কেন্দ্র। আইনমন্ত্রকের যুক্তি ছিল, শীর্ষ আদালতে কাজ করার মতো অভিজ্ঞতা এখনও বিচারপতি যোসেফের হয়নি। ভারতীয় গণতন্ত্রের দুই প্রধান স্তম্ভের সংঘাতের শুরু তখনই।

কিন্তু অনড় ছিল সুপ্রিম কোর্ট ও তার কলেজিয়াম। বিচারব্যবস্থায় সরকারের হস্তক্ষেপ মানতে নারাজ ছিল তারা। দ্বিতীয় বারের জন্যও তাঁরা বিচারপতি যোসেফকে নিয়োগের সুপারিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকের কাছে। এরপর আর কিছুই করার ছিল না কেন্দ্রের। আর প্রস্তাব খারিজ না করে বিচারপতি যোসেফের নিয়োগে সবুজ সংকেত দিতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক।

Advertisement

কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনেই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি নিয়োগ করে কেন্দ্র। কলেজিয়ামের সুপারিশ না মানার নিদর্শন খুব একটা নেই। এর আগে একবারই এই ঘটনা ঘটেছে। তাও ২০১৪ সালে, এনডিএ আমলেই।

আরও পড়ুন: ভারতের নির্বাচন প্রভাবিত করতে পারে রাশিয়া, হুঁশিয়ারি অক্সফোর্ড বিশেষজ্ঞের

রাজধানীর সূত্রের খবর, বিচারপতি যোসেফকে নিয়ে বিজেপি সরকারের আপত্তির কারণ আসলে ২০১৬ সালে তাঁর একটি রায়। কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে উত্তরাখণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার বিরুদ্ধে রায় দেন বিচারপতি কে এম যোসেফ। তারপরই উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস সরকার। বিচারব্যবস্থা বনাম কেন্দ্রীয় সরকারের সংঘাতের বীজ লুকিয়ে আসলে লুকিয়ে ছিল এই ঘটনার মধ্যেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement