ফাইল চিত্র।
শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের সাজায় আগেই সায় দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। জারি হয়েছিল অধ্যাদেশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, এ বার সেটিকে আইন করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি আইন (সংশোধিত) ২০১৮ বিল’ আনতে চলেছে সরকার। আগামিকাল আলোচনার পরে মন্ত্রিসভা ওই সংশোধনী বিলে ছাড়পত্র দিলে বাদল অধিবেশনে সেটি সংসদে আনার কথা ভাবা হয়েছে।
সম্প্রতি কাঠুয়া-সুরাত-মন্দসৌরের ঘটনায় পরপর নির্যাতনের শিকার হয়েছে শিশুরা। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে দেশ জুড়ে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ের মতো রাজ্য ইতিমধ্যেই রাজ্যওয়াড়ি আইনে ১২ বছরের নীচে কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করলে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় স্তরেও অনুরূপ পদক্ষেপের দাবিতে সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গাঁধী। প্রস্তাবটি মেনে নেয় কেন্দ্র। সংসদ বন্ধ থাকায় জারি হয় অধ্যাদেশ। আগামী অক্টোবর মাসে ওই অধ্যাদেশের মেয়াদ শেষ হবে। তার আগে ১৮ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা বাদল অধিবেশনেই ওই অধ্যাদেশ বাতিল সংসদে বিল আইন আনার পক্ষে সরকার। শাসক শিবির আশা করছে ওই বিল পাশ করানোর প্রশ্নে বিরোধীরা সরকারের পাশেই থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আগামিকাল বা সংসদ শুরু হওয়ার আগে শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই বিলটি পাশ করানো হবে।
নতুন বিলে ১২ বছরের কমবয়সি কোনও মেয়েকে ধর্ষণ করলে ন্যূনতম সাজা ২০ বছর ও সর্ব্বোচ্চ সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। আর ১২ বছরের কমবয়সিকে গণধর্ষণ করলে যাবজ্জীবন কারাবাস বা মৃত্যুদণ্ড। এছাড়া ১৬ বছরের নীচে কাউকে ধর্ষণ করা হলে অভিযুক্তদের আগাম জামিন না দেওয়ার ধারা যোগ হয়েছে ওই বিলে। একই সঙ্গে সাজা বাড়ানো হয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ধর্ষণেও। ওই ক্ষেত্রে ন্যূনতম সাজা ৭ বছর থেকে বাড়িয়ে হয়েছে ১০ বছর।
এ ছাড়া নতুন বিলে ধর্ষণ মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের জন্য রাজ্যগুলির কাছেও আবেদন করবে কেন্দ্র। দ্রুত শাস্তিবিধানে ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও মামলাগুলির শুনানি দু’মাসে শেষ করার ধারা থাকছে। এ ছাড়া বিলে অভিযুক্তদের তরফে পুনরাবেদনের শুনানিও ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।