National News

মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলেই বাড়ছে গণপিটুনি, বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেঘওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি হলেন, ‘‘মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। বিহার নির্বাচনের সময় ছিল ‘ঘর ওয়াপসি’ বিতর্ক। এরপর উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় এল গণপিটুনি। এবার এগিয়ে আসছে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। ফের কোনও অসহিষ্ণুতার ঘটনা ঘটবে। কারণ মোদীর জনমুখী প্রকল্পগুলি তৃণমূল স্তরে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। এই ধরনের হিংসার ঘটনা তারই প্রতিক্রিয়া।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আলওয়ার শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮ ১৭:২৪
Share:

অর্জুন রাম মেঘওয়াল। ছবি সৌজন্যে ফেসবুক।

গণপিটুনির মতো ঘটনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গ টেনে বিতর্ক বাধালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল রবিবার বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলেই গণপিটুনির মতো ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই বক্তব্যের মাধ্যমে আসলে বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

গত বছরের পেহলু খানকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় দেশ জুড়ে তোলপাড় হয়েছিল। তারপর শুক্রবার গভীর রাতে আকবর খানকেও গরু পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হন বিরোধীরা। রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সচিন পায়লট বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সন্দেহের বশে গণপিটুনি ও হত্যা একটা প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই নিয়ে রাজস্থানের বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেঘওয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি হলেন, ‘‘মোদীর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। বিহার নির্বাচনের সময় ছিল ‘ঘর ওয়াপসি’ বিতর্ক। এরপর উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনের সময় এল গণপিটুনি। এবার এগিয়ে আসছে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। ফের কোনও অসহিষ্ণুতার ঘটনা ঘটবে। কারণ মোদীর জনমুখী প্রকল্পগুলি তৃণমূল স্তরে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। এই ধরনের হিংসার ঘটনা তারই প্রতিক্রিয়া।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সেই অলওয়ারে ফের গো-তাণ্ডব

গণপিটুনিতে আকবরের মৃত্যুর ঘটনার নিন্দাও অবশ্য করেছেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে এই সব হিংসার আসল কারণ খুজতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। বলেন, গণপিটুনিতে মৃত্যু হওয়া উচিত নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা করি। কিন্তু এটাই একমাত্র ঘটনা নয়। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে আর না হয়, সেটা দেখতে হবে।’’ শুধু তাই নয়, রাজনাথ সিংয়ের মতো ‘অপারেশন ব্লু স্টার’-এর প্রসঙ্গও টেনে আনেন মন্ত্রী। বলেন, ‘‘১৯৮৪ সালে শিখদের সঙ্গে কী হয়েছিল। দেশে সেটাই ছিল সবচেয়ে বড় গণপিটুনি ও হত্যার ঘটনা।’’

আরও পড়ুন: যৌনসঙ্গী নির্বাচন ব্যক্তিগত ব্যাপার, মত কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর

কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা আরও তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমেছেন। রাজস্থানের কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী বলেন, ‘‘মন্ত্রী কার্যত স্বঘোষিত গোরক্ষকদেরই সমর্থন করেছেন। এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জেরে সন্দেহের বশে গণপিটুনির ঘটনা আরও বাড়বে। এই যদি একজন মন্ত্রীর বয়ান হয়, তাহলে এই ধরনের অপরাধ কীভাবে বন্ধ করা যাবে।

২০১৭ সালের এপ্রিলে আলওয়ারে গরু পাচারকারী সন্দেহে খুন হন পেহলু খান। তারপর শুক্রবার রাতে গরু কিনে বাড়ি ফেরার সময় সেই আলওয়ারেই স্বঘোষিত গোরক্ষকদের মারে মৃত্যু হয় আকবরের। তার এক সঙ্গী কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টও সন্দেহের বশে গণপিটুনির মতো ঘটনা রুখতে নতুন আইন আনার কথা বলেছে। কিন্তু কেন্দ্র সেই আর্জি খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নয়া আইন আনার কোনও প্রয়োজন নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement