ফোনের ও পারে বেতন বা পিএফের সমস্যা নিয়ে শ্রমিককে ফোন করে খোঁজ নিচ্ছেন খোদ শ্রমমন্ত্রী। জিজ্ঞাসা করছেন, যে সমস্যার জন্য সরকারের কাছে তাঁরা আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তা কি মিটেছে? মুহূর্তে উত্তর আসছে, “মিটে গিয়েছে। আর সমস্যা নেই!” অনেকে শ্রম মন্ত্রকের অকুণ্ঠ প্রশংসাও করছেন। যা শুনে মন্ত্রীর ছোট্ট জবাব, “আপনাদের সন্তুষ্টিতেই আমাদের তৃপ্তি।”
শুক্রবার এমনই একটি ছোট্ট ভিডিয়ো সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। যেখানে সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়া একের পর এক কর্মীর নামের পাশে পেনসিলে টিক দিচ্ছেন মন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার। কিন্তু একাধিক কর্মী সংগঠনের প্রশ্ন, লকডাউনে বহু লোকের কাজ গিয়েছে। বেতন ছাঁটাইয়ের উদাহরণও ভুরি ভুরি। তার মধ্যে এত সন্তুষ্ট আর সমাধান হাতে পাওয়া কর্মীর সন্ধান মন্ত্রী পেলেন কোথায়!
এ দিনই শ্রমিকদের, বিশেষত পরিযায়ী শ্রমিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে এক টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, শ্রমিকদের কল্যাণের বিষয়গুলি নিয়ে এ দিন এক বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তা কী করে, তা স্পষ্ট জানাননি তিনি। তার মধ্যেই শ্রমিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির ক্ষোভ বাড়িয়েছে শ্রম মন্ত্রকের ভিডিয়ো-বার্তা। তাঁদের অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবি গোটা দেশ দেখেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ আর কেন্দ্রের নির্দেশিকা উড়িয়ে বেতন ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে দেশের বৃহত্তম বেসরকারি সংস্থা রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ-সহ ছোট-মাঝারি অনেক সংস্থাই। সংগঠিত ক্ষেত্রেও বহু কাজ গিয়েছে। তছনছ অসংগঠিত ক্ষেত্র। এমন উদ্বেগ, আশঙ্কা, দুশ্চিন্তাভরা শ্রম দিবসে সমস্যা মিটে যাওয়া এত কর্মীর খোঁজ একা শ্রমমন্ত্রী কি করে পেলেন?
আরও পড়ুন: দেশ জুড়ে ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ
আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব মেনেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেন, সায় দিল কেন্দ্র