ফাইল চিত্র।
নিয়ম অনুযায়ী, হোটেল-রেস্তরাঁর বিলে সার্ভিস চার্জ বাধ্যতামূলক নয়। বিলে সার্ভিস চার্জের জায়গা ফাঁকা থাকবে। বিল মেটানোর সময় কারও ইচ্ছে হলে নিজেই সার্ভিস চার্জের অঙ্ক বসিয়ে তা মিটিয়ে দেবেন।
তবে এই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হোটেল-রেস্তরাঁগুলি বাধ্যতামূলক ভাবে সাধারণ মানুষের থেকে সার্ভিস চার্জ আদায় করছে। ইচ্ছে না হলে কেউ যে সার্ভিস চার্জ না-ও দিতে পারেন, সেটিও বলা হচ্ছে না। একের পর এক অভিযোগ পেয়ে আজ কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক রেস্তরাঁগুলিকে সতর্ক করল। একই সঙ্গে রেস্তরাঁ মালিকদের জাতীয় সংগঠনের সঙ্গে ২ জুন বৈঠকে বসতে চলেছে মন্ত্রক। জাতীয় রেস্তরাঁ অ্যাসিসিয়েশনের সভাপতিকে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব রোহিতকুমার সিংহ চিঠি লিখে জানিয়েছেন, রেস্তরাঁগুলি ক্রেতাদের থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে সার্ভিস চার্জ আদায় করছে, যা আইন বিরুদ্ধ। ক্রেতাদের সার্ভিস চার্জ মেটাতে বাধ্য করা হচ্ছে। তা-ও ইচ্ছেমতো চড়া হারে। বিল থেকে সার্ভিস চার্জ সরাতে বললে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের আইনের বিষয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে। মন্ত্রকের বক্তব্য, জাতীয় উপভোক্তা হেল্পলাইনে এ বিষয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে।
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের বক্তব্য, পাঁচ বছর আগেই এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা পালন হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে রেস্তরাঁর বাইরে আগেভাগেই ‘সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়’ জানিয়ে নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ওই রেস্তরাঁয় খেতে গেলে সার্ভিস চার্জ দিতেই হবে। এ’টিও উপভোক্তা সুরক্ষা আইনের লঙ্ঘন।