—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আটা ছিল, ডাল ছিল। এ বার সরকারি চালও মিলবে বাজারে। আসছে ‘ভারত রাইস’। বাজারচলতি মূল্যের চেয়ে যার দাম অনেকটাই কম হতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমবর্ধমান মূল্যে রাশ টানতে চায় কেন্দ্র। ‘ভারত রাইস’ সেই পরিকল্পনারই অঙ্গ বলে মনে করছেন অনেকে।
দ্য ইকনমিক টাইমস্-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘ভারত রাইস’ ২৫ টাকা প্রতি কিলো দরে মিলবে বাজারে। যা সাধারণ বাজারচলতি চালের দামের প্রায় অর্ধেক। এর আগে আটা এবং ডালের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকার একই ভাবে মূল্যহ্রাসে উদ্যোগী হয়েছিল। ‘ভারত আটা’ এবং ‘ভারত ডাল’ বর্তমানে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যে কোনও সংস্থার ডাল বা আটার চেয়ে যার দাম বেশ কম। এ বার চালের ক্ষেত্রেও একই ভাবে মাঠে নামছে কেন্দ্র।
সরকারি সূত্রে খবর, ন্যাশানাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার্স ফেডারেশন, ন্যাশানাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া এবং কেন্দ্রীয় ভান্ডারের বিভিন্ন আউটলেটে ‘ভারত রাইস’ মিলবে।
সম্প্রতি সারা দেশের খুচরো বাজারে চালের দাম চোখে পড়ার মতো বৃদ্ধি পেয়েছে। গড়ে ৪৩.৩ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে চাল। গত বছরের তুলনায় যা ১৪.১ শতাংশ বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বরে দেশে খাদ্যশস্যের দাম ১০.২৭ শতাংশ বেড়েছে। যা মুদ্রাস্ফীতিকে পৌঁছে দিয়েছে ৮.৭০ শতাংশে। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে খাদ্যশস্যের দাম কমাতে কোমর বেঁধে নেমেছে সরকার। চাল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাদ্যশস্য। দেশের একটা বড় অংশের মানুষের জীবনে যা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই চালের দামে লাগাম টানা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে ‘ভারত আটা’ প্রতি কেজি সাড়ে ২৭ টাকা এবং ‘ভারত ডাল’ প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করে কেন্দ্র। দেশের দু’হাজারের বেশি খুচরো বিপণিতে এই আটা এবং ডাল পাওয়া যায়। যে পদ্ধতিতে আটা এবং ডাল বিক্রি করা হচ্ছে, ‘ভারত রাইস’-এর ক্ষেত্রেও সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কবে থেকে এই চাল বাজারে পাওয়া যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।