প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভায় আসন সংখ্যা হ্রাস এবং শরিকদের উপরে নির্ভরশীলতার ফল মোদী সরকারের আর্থিক সংস্কারের কর্মসূচিতে দেখা গেল। ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ থেকে আপাতত পিছু হটার ইঙ্গিত দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ লোকসভায় ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত আইনে সংশোধনী বিল পেশ করা হল। কিন্তু তাতে ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের দরজা খোলা হল না।
২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছিলেন। বলেছিলেন, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক ছাড়া আরও দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করতে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত আইনে সংশোধন করা হবে। ব্যাঙ্কের কর্মচারী সংগঠনগুলি এর বিরোধিতা করায় লোকসভা ভোটের আগে মোদী সরকার ঝুঁকি নেয়নি। কিন্তু তৃতীয় বার মোদী সরকার ক্ষমতায়
আসার পরে বাদল অধিবেশনে সংশোধনী বিলটি পেশ হবে বলে শিল্পমহল মনে করছিল। যাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে সরকারের মালিকানা ৫১ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনার
রাস্তা খোলা হয়।
আজ লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী সংশোধনী বিলটি পেশ করেছেন। কিন্তু তাতে ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের কর্মসূচি আপাতত হিমঘরে চলে গেল বলে সরকারের অন্দরমহলের কর্তাব্যক্তিরা মনে করছেন।
বিলে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে গ্রাহকদের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এক জনের বদলে চার জন ‘নমিনি’ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে চার জন নমিনি থাকবেন, তার মধ্যে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের মালিক মারা গেলে কে কত টাকা ভাগ পাবেন, তা আগেভাগেই ঠিক করে দেওয়া যাবে। অথবা কে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ অগ্রাধিকার পাবেন, তা-ও ঠিক করে দেওয়া যাবে।
বিরোধীরা এই বিলে সমবায় ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেও কিছু সংশোধনের বিষয় থাকায় আপত্তি তোলেন। কারণ, সমবায় সংস্থা বিষয়ে আইন তৈরির অধিকার রাজ্যের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত আইনের সঙ্গে সমবায় ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণেরও সম্পর্ক রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে সংশোধন করতে হলে এই বিলেই করতে হবে।