ফাইল চিত্র।
রাশিয়া, জাপান, চিন, আমেরিকা এবং ব্রিটেন থেকে সুভাষচন্দ্র বসু সংক্রান্ত নথি, তথ্য ও ফাইল আনতে সক্রিয় কেন্দ্র। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন আজ রাজ্যসভায় এ কথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ জহর সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে। তাঁর বক্তব্য, ব্রিটেন জানিয়েছে সুভাষ সংক্রান্ত মোট ৬২টি ফাইল ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ লাইব্রেরির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। রাশিয়া জানিয়েছে, সে দেশের আর্কাইভে নেতাজি সংক্রান্ত কোনও নথি তারা পায়নি। ভারত সরকারের অনুরোধে বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত তদন্ত করেও এ ব্যাপারে এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।
রাজ্যসভায় জহরবাবুর প্রশ্ন ছিল, “রাশিয়া, ব্রিটেন, আমেরিকা, জাপানের মতো দেশগুলি থেকে নেতাজি সংক্রান্ত ফাইল এবং নথি দেশে আনার ব্যাপারে কেন্দ্রের আরও সূচিমুখ প্রয়াস না করার কারণ কী?” তিনি আরও জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী কি এ ব্যাপারে ওই রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন?
জবাবে মুরলীধরন দেশ ধরে ধরে জবাব দেন। রাশিয়া এবং ব্রিটেনের পাশাপাশি, আমেরিকা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “আমেরিকান সরকার আমাদের জানিয়েছে, সেই কালখণ্ডের, তিরিশ বছরের বেশ সময়ের কোনও ঐতিহাসিক নথি জমা নেই। আমেরিকার ন্যাশনাল আর্কাইভ আমাদের জানিয়েছে, ওই সময়ের কোনও নথিই কম্পিউটরে তোলা হয়নি। ফলে ওই তথ্য এবং ফাইল খুঁজে বার করা আমেরিকার সরকারের বিভিন্ন দফতরের পক্ষে খুবই শ্রমসাধ্য কাজ এবং এখনও পর্যন্ত তারা তা করে উঠতে পারেনি।” জাপান সম্পর্কে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তারা নেতাজি সংক্রান্ত দু’টি ফাইল প্রকাশ্যে এনেছে। সেগুলি আর্কাইভে রাখা রয়েছে। সাধারণ মানুষ চাইলে তা দেখতে পারেন। নয়াদিল্লির অনুরোধে জাপান সরকার ওই ফাইলগুলি ভারতের হাতে তুলেও দিয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল আর্কাইভে সেগুলি রয়েছে।”
জহরবাবু জানান, সুভাষচন্দ্রের প্রস্তাবিত মূর্তির খরচ, সেটি শেষ হওয়ার সময়কাল এবং সম্প্রতি তাঁর হলোগ্রাম মূর্তি ইন্ডিয়া গেট থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চেয়ে তিনি রাজ্যসভায় প্রশ্ন জমা দিয়েছেন। এর আগে সংসদের বাইরে সরকার জানিয়েছে, দুর্যোগের কারণে লেজ়ার রশ্মি বন্ধ রাখতে হয়েছিল।