মোদী সরকারের দাবি ইডি রাজনীতির রং দেখে তদন্ত করে না। ফাইল চিত্র।
কোন দলের কত জন সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ইডি মামলা ঠুকেছে, তার কোনও পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই।
সিবিআইয়ের দোসর হিসেবে ইডিকেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজে লাগানোর অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। কিন্তু মোদী সরকার আজ সংসদে দাবি করল, ইডি রাজনীতির রং দেখে তদন্ত করে না। ইডি কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে। তৃণমূল সাংসদ মালা রায় লোকসভায় জানতে চেয়েছিলেন, গত পাঁচ বছরে ইডি কোন কোন রাজ্যে, কোন রাজনৈতিক দলের কত জন সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আজ অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি জানিয়েছেন, ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ বা নথির ভিত্তিতে ইডি তদন্ত শুরু করে। রাজনৈতিক যোগাযোগ বা অভিযুক্তদের পদের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করে না। তাই এমন কোনও পরিসংখ্যান রাখা হয় না।’
গত সপ্তাহে সিবিআইয়ের মামলা নিয়ে মালা রায়ের একই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর দিয়েছিল, গত পাঁচ বছরে ৫৬ জন বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে সিবিআই এফআইআর করেছে। বিরোধী দলের সঙ্গে বিজেপির নেতারাও রয়েছেন তার মধ্যে। এক মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে একটি শুনানির সময়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানানো হয়েছিল, ৫১ জন সাংসদ ও ৭১ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে ইডি-র তদন্ত চলছে। কিন্তু আজ অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, এমন কোনও পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই।
লোকসভায় সরকার এই জবাব দিলেও রাজ্যসভায় আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহ অভিযোগ তুলেছেন, গত আট বছরে মোদী জমানায় ইডি বিজেপি-বিরোধী নেতাদের ঠিকানায় ৩ হাজার তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু ৮ বছরে ইডি সব মিলিয়ে মাত্র ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করতে পেরেছে। তল্লাশি-হানার সংখ্যার মাত্র ০.৫%। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার চলছে। আট বছরে অন্য দলের ২১১ জন সাংসদ-বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সরকারের তরফে মন্ত্রী পীযূষ গয়াল দাবি করেন, এই সব অভিযোগের সত্যতা নেই। তথ্য দিলে তা সঠিক বলে জানাতে হবে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় তাতে সায় দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে তিনি মঙ্গলবার দলনেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।