বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হবে প্রথম দফার টিকাকরণের হার ৫০ শতাংশের নীচে থাকা ৪৫টি জেলায়। পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলা ওই তালিকায় নেই। প্রতীকী ছবি।
নভেম্বরের বাকি ২০ দিনে করোনা টিকার ২০ কোটি প্রথম ডোজ়। দিনে এক কোটি টিাকার এই লক্ষ্য বেঁধে দিতে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। যদিও মন্ত্রকের অন্দরেই প্রশ্ন, এখন দেশে যেখানে দিনে ৫০-৫৫ লক্ষ মানুষ টিকা নিচ্ছেন, সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে কী ভাবে?
এ মাসের মধ্যে যাতে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিষেধকের অন্তত প্রথম ডোজ় পান, তা নিশ্চিত করতে ‘হর ঘর দস্তক’ কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, আগামিকালের বৈঠকে তার রূপরেখা স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সামনে তুলে ধরবেন মাণ্ডবিয়া। বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হবে প্রথম দফার টিকাকরণের হার ৫০ শতাংশের নীচে থাকা ৪৫টি জেলায়। পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলা ওই তালিকায় নেই।
‘হর ঘর দস্তক’ অভিযানের লক্ষ্য, যে জেলাগুলিতে টিকাকরণের হার কম, সেখানে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিকা নেওয়ার প্রশ্নে সচেতনতা বাড়ানো। মন্ত্রকের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘১২-১৫ শতাংশ মানুষ টিকা নেওয়ার প্রশ্নে প্রবল দ্বিধাগ্রস্ত। তার কারণ চিহ্নিত করে পদক্ষেপের জন্য রাজ্যগুলিকে সুপারিশের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র।’’ এ ছাড়া, প্রাথমিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, উচ্চশিক্ষিতদের একাংশ বিদেশি প্রতিষেধকের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। তাঁদেরও টিকাকরণের আওতায় আনার বিষয়ে জোর দিতে চায় কেন্দ্র।
এ সবের মধ্যে কোভ্যাক্সিন প্রস্তুতকারী ভারত বায়োটেকের জিএম কৃষ্ণ এলার দাবি, নাকের ড্রপের মাধ্যমে দেওয়ার মতো করোনা প্রতিষেধক তৈরি করছে তাঁদের সংস্থা। তাঁর দাবি, বিশ্বে প্রথম জ়িকা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির কাজও শুরু করেছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে এলার দাবি, ‘‘করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ়ের ছ’মাস পরে বুস্টার ডোজ় নেওয়া ভাল। ওটাই আদর্শ সময়।’’