ফাইল চিত্র।
বাজারে রান্নার তেলের দাম যতই বাড়ুক, রাতারাতি এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না বলে আজ মেনে নিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্যসচিব সুধাংশু পাণ্ডে।
গত কয়েক মাস ধরেই সর্ষে, সূর্যমুখী, বাদাম তেলের মতো ভোজ্য তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে এমনিতেই ভোজ্য তেলের দাম চড়া ছিল। তার উপরে ইন্দোনেশিয়া অশোধিত পাম তেলের রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় ভারতে ভোজ্য তেলের দাম ফের ঊর্ধ্বমুখী। জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোথাও দেড় গুণ পর্যন্তও দাম বেড়েছে। আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ পণ্য উৎপাদনকারী দেশগুলির রফতানিতে বিধিনিষেধ টানা ও উৎপাদনে ধাক্কা লাগার ফলে বিশ্ব বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। তার ফলে ভারতেও খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে।
আজ কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব পাণ্ডে বলেন, ‘‘রাতারাতি ভোজ্য তেলের সমস্যার সমাধান করা যাবে না। ভোজ্য তেলের জোগানে ধাক্কা লেগেছে। এটাই বাস্তব।’’ তবে ইন্দোনেশিয়ার রফতানিতে আপাতত নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও দেশে ভোজ্য তেলের অভাব তৈরি হবে না বলে তাঁর দাবি। পাণ্ডের যুক্তি, দেশে এখনও ৪৫ দিনের চাহিদা মেটানোর মতো পাম তেল মজুত রয়েছে। ইন্দোনেশিয়াকে কিছু দিনের মধ্যে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। কারণ ইন্দোনেশিয়া নিজের চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ পাম তেল উৎপাদন করে। বাড়তি তেল মজুতের পরিকাঠামোও তাদের নেই।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব বাজারে গমের জোগানের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে ভারত থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির পাশাপাশি মিশর, তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মতো নতুন নতুন দেশেও গম রফতানি করছেন ব্যবসায়ীরা। বেসরকারি রফতানিকারী সংস্থাগুলিই চাষিদের থেকে এমএসপি-র তুলনায় বেশি দামে গম কিনে নিচ্ছে বলে সরকারের গম কেনার পরিমাণ এ বার অর্ধেক কমবে। চাষিরা ব্যবসায়ীদের গম বেচেই বেশি দাম পাচ্ছেন। তবে রফতানিতে লাগাম টানার কোনও পরিকল্পনা নেই। কারণ দেশের বাজারে গমের চাহিদা মেটাতে সমস্যা হবে বলে মনে করছে না সরকার। তবে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলিতে গমের বরাদ্দ কমিয়ে চালের বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। এই রাজ্যগুলি চালই বিলি করতে চাইছে।